সময় জার্নাল প্রতিবেদক। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটা এখনই বলতে পারছি না। লঞ্চের ব্যবসা কারা করে আপনারা সবাই জানেন। শেখ হাসিনার পরিবার লঞ্চের ব্যবসা করে না। আমরা দুর্ঘটনায় নিহত সব পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।
তিনি বলেন, লঞ্চে আমাদের হিসেব মতে ৩৫০ এর মতো যাত্রী ছিল। তবে এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।
তাছাড়া লঞ্চের ফিটনেস ঠিক আছে বলে জানতে পেরেছি। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ যাত্রীদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি কমিটি করা হয়।
এরমধ্যে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
অপরদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক (ডিসি) জোহর আলী জানান, তাদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
সময় জার্নাল/আরইউ