ডা. সালমান মাহী রুহুল কাওসার :
৫০ টাকার রাজা বালু চা। দুই বছরে ১৮ দোকানের মালিক কিভাবে হলেন রাজা? Turkish sand tea in Bangladesh
বালুর চা !!! ???
খাবেন? নাকি খাবেন না !!!!!!
ঢাকা শহরে দুবাই চা দিয়ে প্রায় দুই বছর আগে ভাইরাল হওয়া রাজা মামা এবার নিয়ে এসেছেন তাঁর নতুন আকর্ষণ রাজা বালুর চা।
টার্কিশ স্যান্ড কফি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বানানো রাজা বালু চায়ের আদ্যোপান্ত নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
★★★ কারা খাবেন ???
বিভিন্ন রকম ভিন্ন স্বাদের খাবার চেখে দেখে যারা অভ্যস্ত বা একেবারে হার্ডকোর টি লাভার নন এমন মানুষ এই চা খেতে নিশ্চিন্তে যেতে পারেন।
নানান রকম অঙ্গভঙ্গি এবং চা নিয়ে নানান কসরৎ দেখে মজা পাবেন এটা নিশ্চিত। তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী টার্কিশ কফির আদলে রাজা মামা তৈরি করেছেন তার রাজা বালু চা।
তাই যাদের উদ্দেশ্য, শুধুমাত্র চা পান করা নয়,,, চা পান করা সাথে কিছুটা বিনোদন পাওয়া, তাদের জন্য এই রাজা বালু চা একটা ভালো অপশন হতে পারে।
বাজারে এভেইলেবল নানান পানীয়র সাথে দাম তুলনা করলে খুব একটা বেশি না। (৫০ টাকা)
★★★ কারা খাবেন না ?
আপনি যদি একজন রেগুলার হার্ডকোর চা প্রেমিক হন, তবে আপনাদের অধিকাংশের জন্য এই চা নয়।
এখানে চায়ের পরিমাণটা কম বরংচ অন্যান্য উপাদানের পরিমাণটা অনেক বেশি। সব সময় ট্রেডিশনাল চায়ের স্বাদ পেয়ে আপনি অভ্যস্ত, তাই চা নামে নতুন কোন ড্রিঙ্ক আপনার সহ্য হতে নাও পারে।😁😁
★★★ প্লেসঃ রাজা চায়ের আড্ডা।
লাভ রোড,মিরপুর ২, হার্ট ফাউন্ডেশন এর সাথেই।
★★★ আমাদের অভিজ্ঞতাঃ
রাজা মামার চায়ের সাথে আমরা আগে থেকেই পরিচিত। রেগুলার চা তিনি খুব ভালো বানাতে পারেন। গত দুই বছর আগে দুবাই চা দিয়ে তার ভাইরাল যাত্রা শুরু। স্টেশনের একটা ভ্যান গাড়ি দোকান থেকে যাত্রা শুরু করে মাত্র দুই বছরে আঠারোটা দোকানের মালিক।। 😳😳
তার নতুন, রাজা বালু চা এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের বাদাম তিনি ব্যবহার করেছেন। সরাসরি আগুনে উত্তপ্ত না করে উত্তপ্ত বালু দিয়ে তিনি এই চা তৈরি করছেন।
সরাসরি আগুন আর বালু থেকে চায়ের স্বাদ এর পার্থক্যটা কতটা হতে পারে সেই বিষয়টি আমার সঠিক জানা নেই, তবে চা বানানোর প্রসেস দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী কফির আদলে তৈরি চা তিনি বানাচ্ছেন, এই বিষয়টা সত্যিই অনেক সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
এবারে আসে আমাদের ব্যক্তিগত রেটিং নিয়ে,
★★স্বাদঃ ৭/১০।
তবে অনেকের কাছে বেশ ভাল লেগেছিল তারা ৮ বা ৯ করে দিয়েছেন।
★★দামঃ ৭/১০।
প্রতি কাপ চায়ের দাম 50 টাকা।
যদিও তিনি আমাদের বলেছেন বাদামসহ অনেক কিছু ব্যবহার করার কারণে চায়ের মূল্যটা বেশী হওয়াই স্বাভাবিক, কিন্তু তারপরও এই চায়ের দাম 40 টাকার মাঝে হলে বেস্ট হত।
★★পরিবেশ ও পরিবেশনঃ১০/১০।
যে কয়বার আমি রাজা মামা কে দেখেছি, প্রতিবারই মনে হয়েছে তিনি তার কাস্টমারদের প্রতি সবসময় আন্তরিক এবং কাস্টমার সার্ভিস বিষয়টাতে তিনি বিশ্বাসী।
সবার সাথে কথা বলে বলে মজা করে চা বানাতে তিনি ওস্তাদ, টার্কিশ কফির আদলে বালু দিয়ে চা বানানোর আইডিয়াটা ইউনিক।
শুভকামনা রইল রাজা মামার প্রতি।