ময়মনসিংহ সংবাদদাতা :
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমকে আটক করেছে পুলিশ।
রাতেই কাইয়ুমকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সোমবার নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমসহ অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার ফলাফল ঘোষণা কক্ষে বসে ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহ করে ফলাফল ঘোষণা করছিলেন। এসময় ডৌহাখলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ কাইয়ুম ও তার সহযোগীরা ফলাফল ঘোষণা কক্ষে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তাঁতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ফলাফলের কপি চান। তখন নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের জানান ওই কেন্দ্রের ফলাফলের কপি এখনো আসেনি। পরে কাইয়ুম ও তার সহযোগীর উত্তেজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও ফলাফল ঘোষণার কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করে। ওই দিন রাত ১১টায় ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভোট গণনা শেষে এম এ কাইয়ুমকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান- নির্বাচন পরবর্তী কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। নবনির্মিত চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/ইএইচ