খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের মাগুড়া ইউনিয়নের ৩ কেন্দ্রে স্থগিত ভোট আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীদ্বয়। ওই ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রভাষক আখতারুজ্জামান মিঠু (লাঙ্গল) তার বাড়ীর এলাকার ৭ টি ভোট কেন্দ্রে ৭ হাজার ৭ শত ভোট পেয়ে বিজয়ের দিকে এগিয়ে আছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ গোলাপ ৭ কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৩শত ২৮ ভোট। কিন্তু স্থগিত হওয়া ৩ ভোট কেন্দ্র আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ গোলাপের বাড়ীর কাছে হওয়ায় নির্বাচনী মাঠ অনেকটাই গরম হয়ে উঠেছে। স্থগিত হওয়া ৩ ভোট কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৬শত ৯ ভোট।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আখতারুজ্জামান মিঠু ৫ হাজার ৪শত ৩০ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এখন দুই প্রার্থীর মধ্যে হবে তুমুল লড়াই। পুলিশ সহিংসতা এড়াতে ওই এলাকায় নিয়মিত ভাবে টহল দিয়ে আসছে। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ গোলাপ তার নিজস্ব এলাকার ভোট একক ভাবে গড়ার চেষ্টায় প্রত্যেক বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে হাতজোড় করছে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভোটারদের কাছে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। ভোটের বাকী আর মাত্র ২ দিন বাকী। তিন কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী এজেন্ট রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন লাঙ্গলের প্রার্থী মিঠু। আর কেউ যেন লাঙ্গলের পক্ষে এজেন্ট না থাকে সেজন্য আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মাঠে জোরদার ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ী পেয়াদাপাড়ার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিঠুর সমর্থক ও মৃত হাওয়াজ আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪২) লাঙ্গলের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে বাড়ী থেকে বের হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ গোলাপের কর্মী ওই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কালা মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০),লাঙ্গলের এজেন্টকে বেধরক মারপিট করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই নৌকা প্রতীকের কর্মী কালা মিয়া লাঙ্গলের কর্মীর মুখে ঘুষি মেরে সামনের চোয়ালের একটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে নৌকার সমর্থকরা তাকে আটকে দেয়। পরে গোপনে আবার লাঙ্গলের এজেন্ট বাচ্চু মিয়া অন্য পথ দিয়ে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আখতারুজ্জামান মিঠু বলেন,আমার জয় নিশ্চিত দেখে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। পরে সেই কেন্দ্রগুলো ভোট গননা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। আমি আমার নির্বাচনী কাজে ওই এলাকায় গেলেও আমার প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামীলীগ প্রার্থীসহ তার নেতা কর্মীরা। আজ আমার একজন এজেন্টকে তার কর্মীরা মেরে দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণ নিরব ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দিবে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ গোলাপের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের পারিবারিক বিষয়কে নিয়ে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে একটি মহল।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন,বিষয়টি শুনেছি,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর