জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: নির্বাচনে জিতেই বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপরে হামলা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে এলাকাও ছেড়েছে বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন এক ভুক্তভগি।
মঙ্গলবার(২৮ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উসমান আলী নামের এক ভুক্তভুগি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২৬ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচন করেন। নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয় কৃষ্ণপুর গ্রামের সইদুল ইসলাম। আর মোরগ প্রতীক নিয়ে সইদুলের সাথে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন হারুন অর রশীদ। কিন্তু নির্বাচনে যারা টিউবওয়েলের বিরোধীতা করেছে তারা সবাই এখন সাইদুলের শত্রুতে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনের পরদিন গত ২৭ ডিসেম্বর সইদুলের সাথে মোরগ প্রতীকের কর্মী পাইকপাড়া গ্রামের উসমান আলীর সাথে দেখা হয়। সেই সময় সইদুল উসমানকে মেরে ফেলবে, কেটে ফেলবে বলে জনসমূক্ষে হুমকি প্রদান করে। এতে ভীত হয়ে পুলিশের সহায়তা চায় উসমান।
ভূক্তভুগি উসমান আলী বলেন, সইদুল জয়ী হয়ে আমাকেসহ আমাদের মোরগ প্রতীকের আরও বাকি কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে সে কারণে লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
রহিমানপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা জীবন হক। এবার নির্বাচনে তিনি মোরগ মার্কার পক্ষে কাজ করেছেন।
তিনি জানান, সাইদুল বিরোধী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। হাটে বাজারে বা রাস্তায় দেখা হলে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ফাকা জায়গায় একা পেলে হামলা করছে। এলাকার অনেকেই তার কাছে মাইর খেয়েছে। অনেককে বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে।
কশিমউদ্দীন নামে মোরগ প্রতীকের আরেক কর্মী বলেন, নির্বাচনে পক্ষ বিপক্ষ থাকে তাই বলে আমরা সইদুলের নির্বাচন করিনি বলে হুমকিতে থাকতে হবে সেটা হতে পারেনা। আমাকেও সইদুল পায়ের রগ কেটে ফেরার হুমকি দিয়েছে। আমাদের কর্মী রাজিব কে মারপিট করেছে। ভয়ে রাজিব এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। সইদুল মেম্বার নিজে বা তার কর্মীদের মাধ্যমে আমার ক্ষতি করতে পারে সেই জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই হাশেম বলেন, হুমকির বিষয়ে উসমান আলী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য সইদুল ইসলাম নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, ভুল বসত কিছু হয়তো বলেছি। প্রকৃত পক্ষে কারও প্রতি আমার আর কোনো রাগ নেই। একাধিক ব্যক্তি ফোনে জানালে আমি ভূল স্বীকার করেছি।
সময় জার্নাল/এলআর