ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত কৃষক আকমল শেখ হত্যা মামলার আসামীদের মাঠের ফসল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামী পক্ষের লোকজন বাড়ি এবং গ্রাম ছাড়া হওয়ার সুবাদে বাদী পক্ষের কতিপয় মাতুব্বরদের নেতৃত্বে এই লুটপাট হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হত্যা মামলার আসামী ইলিয়াস মোল্যা, ইকলাস মোল্যা, আনোয়ার মাতুব্বর, নুরু মাতুব্বর, সাহিদুল মাতুব্বর, ইসলাম মোল্যাসহ আসামীদের দলীয় রুহুল আমিন, ময়েন মোল্যা, সিরু সেখ, বদিয়ার মাতুব্বর, কামাল মাতুব্বর, কালা শেখ, আকরাম শেখদের প্রায় ৭৫০ শতাংশ জমির পেঁয়াজ এবং রসুন রাতের আঁধারে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায়। যার বাজার মুল্য প্রায় সাত লক্ষ টাকা।
হত্যা মামলার আসামী ইকলাস মোল্লার স্ত্রী জেসমিন বেগম জানান, পোয়াইল গ্রামের নাজিমুদ্দিন মেম্বার ও হাসমত মাতুব্বরের নির্দেশে আমাদের ৯০ শতাংশ জমির পেঁয়াজ এবং রসুন লুট করে নিয়ে যায়। ভয়ে স্বামী পলাতক, আমিও বাড়ি ছাড়া। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা লুটপাট চালায়।
বুধবার (২৪ মার্চ) থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাইকিং করা হয়। ওই মাইকিংয়ে পেঁয়াজ উঠানো এবং পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা মোতাবেক নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে ওই এলাকার কৃষকেরা তাদের জমির পেঁয়াজ উঠানো শুরু করেন।
সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের জাবের মোল্যার নসিমন ভর্তি ৭৫ বস্তা পেঁয়াজ পোয়াইল তিন রাস্তার মোড় থেকে ৬/৭ জনের এক দল দুর্বৃত্ত লুট করে।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম পাটোয়ারী ও মো. শাহাদাত ঘটনাস্থলে গিয়ে মনিরুল মোল্যার গোয়ালঘর এবং উঠানে থাকা পাতার গাদা থেকে ৫ বস্তা, অলি মোল্যা ও গাজী শামসুজ্জামান খোকনের উঠান থেকে গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় দুই বস্তা পেঁয়াজ উদ্ধার করে। বাকি ৬৮ বস্তা পেঁয়াজের হদিস মেলেনি।
জাবের মোল্যার স্ত্রী ইসমত আরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমাদের ৭৫ বস্তা পেঁয়াজ লুট করে নিয়ে গেছে। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির মতো পেঁয়াজ ধরে। তাতে লক্ষাধিক টাকার পেঁয়াজ লুট হয়েছে।'
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম পাটোয়ারী বলেন,'পেঁয়াজ লুটের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই। পার্শ্ববর্তী তিন বাড়ি থেকে ৭ বস্তা পেঁয়াজ উদ্ধার করা হয়েছে।'
সময় জার্নাল/এমআই