লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীরের অসুখ হলে ডাক্তার আছেন। সকলে সেটা দেখতে পান তাই কেয়ার করেন। কিন্তু মনের অসুখ হলে তো কেউ জানতেই পারেন না যতক্ষণ না আপনি সেটা জানাবেন। কিন্তু নানা কারণেই মনের উপর চাপ পড়ে। যা অযত্নে ফেলে রাখলেও হতে বিরাট সমস্যা। তাই মনের অসুখ অর্থাৎ মানসিক চাপ কমাতে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হয় সবার প্রথমে। এক্ষেত্রে যে কাজ গুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
প্রচণ্ড মন খারাপের সময় নিজের সাথে কথা বলুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মন খারাপের কথা গুলো নিজেকেই বলুন। এতে মন হালকা হয় ও সাময়িক খারাপ কিছুটা কম লাগবে। এছাড়া যাদের বিশ্বস্ত বন্ধু আছে তারা বন্ধুর সাথে কথা বলুন।
কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো অপরিবর্তনীয়। যেমন কোন প্রিয়জনের মৃত্যু বা এমন কোন ঘটনা যা আপনাকে প্রচণ্ড আঘাত করছে, মেনে নিতে পারছেন না। তখন নিজেকে প্রশ্ন করুন সে ঘটনার পরিবর্তন বা পূর্বের অবস্থায় নেওয়া সম্ভব কিনা? ঠিক করা সম্ভব কিনা। যদি না হয় তবে সেটা নিয়ে ভাবনা বন্ধ করুন। একান্তই যদি ভাবনা চলে আসে তবে নিজেকে তখন অন্য কাজে ব্যস্ত করে ফেলুন।
নিজের দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করুন। সময়কে ভাগ করে নিন সারাদিনের কাজের ভিত্তিতে। জীবনে লক্ষ্য স্থির করুন। সে অনুযায়ী নিজেকে গুছিয়ে নিন। এটি আপনার একটি ব্যস্ত সময় তৈরি হবে এবং অপ্রিয় ঘটনার কারণে যে মানসিক চাপে ভুগছেন তার থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে আপনাকে সাহায্য করবে।
নেতিবাচক চিন্তা বা আপসোস থেকে বেরিয়ে আসুন। অনেক সময় না পাওয়া বস্তুর জন্য আপসোস আসে তখন একরকম চাপা যন্ত্রণা হয়। এক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভাবুন যা পান নি তা আরে ভালো উপায়ে কিংবা তার থেকে ভালো কিছু পাবেন। মনে রাখবেন আশা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
নিজের পছন্দের কাজ গুলো করুন। ডায়েরি লিখতে পারেন। স্মৃতিকথা, গল্প, কবিতা লিখুন। এতে নতুন সৃষ্টির আনন্দ পাবেন। আর আনন্দ সব সময় খারাপ থাকা বা খারাপ লাগাকে মুছে দিতে পারে৷
বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ও ধ্যান করতে পারেন। এতে মন যেমন ভালো হবে একইসাথে শরীরও থাকবে ফিট।
মানসিক চাপ কমাতে দৈনন্দিন রুটিন ঠিক রাখা দরকার। নিয়মিত ঘুমানো, খাওয়া দাওয়া করুন। প্রয়োজনে প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নিন।
সবথেকে জরুরি বিষয় হচ্ছে মানসিক চাপের সময় নিজেকে শিথিল রাখুন। মানসিক যন্ত্রণায় থাকলে এমন কিন্তু নয় যে সবসময় সেটার টানাপোড়েন হতে থাকে। একটা সময়ে হয়। হতে পারে হুট করে কোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। তখন মানসিক চাপ হয়। আর তখন নিজেকে শিথিল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে হালকা ধাঁচের গান শুনুন, কবিতা শুনুন অথবা নিজের কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন।
মনে রাখতে হবে মানসিক চাপ একদিনে বা হুট করে সেরে যাবে তা নয়। এটি অবশ্যই সময়সাপেক্ষ একটি বিষয়। তা আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে ব্যস্ত রেখে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন। প্রয়োজনে মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
এমআই