নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্বাচলের নতুন ভেন্যুতেই এবার আয়োজিত হয়েছে বাণিজ্যমেলা। এখানে আছে প্রায় ৩৩ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী স্পেস। এক্সিবিশন হলে মোট ৮০০টি বুথ আছে। যার প্রতিটির আয়তন ৮.৬৭ বর্গমিটার। এ ছাড়াও বাইরে ৬ একর খোলা জায়গা আছে। যেখানে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দুরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। রাস্তা ফাঁকা থাকলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে ৫০ মিনিট।
আর যানজট থাকলে ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে বাণিজ্য মেলায় পৌঁছাতে। তাই হাতে সময় নিয়ে বের হওয়া ভালো। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের ঝামেলায় পড়তে হবে না। কারণ যথেষ্ট জায়গা আছে পার্কিংয়ের জন্য।
মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হবে।
দ্বিতল গাড়ি পার্কিংয়েরও সুবিধা আছে এক্সিবিশন সেন্টারে। যার আয়তন ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। যেখানে একসঙ্গে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। এ ছাড়াও মেলার বাইরে খোলা পার্কিং স্থানে আরও ১০০০ গাড়ি রাখা যাবে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২ এর এক্সিবিশন সেন্টারে বড়দের জন্য প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা ও অন্যান্য দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাণিজ্যমেলা।
এক্সিবিশন সেন্টারে আছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট ১টি কনফারেন্স রুম, ৬টি সভাকক্ষ, ৫০০ আসনের ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের স্থান, ১৩৯টি টয়লেট, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম ইত্যাদির সুবিধা।
মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে আছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য।
এ ছাড়াও পাবেন স্পোর্ট গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।
সময় জার্নাল/এলআর