মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গত এক বছরে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ১১২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪০৯ টাকার চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে। এসময় আটক করা হয় ৯০ জন চোরাচালানীকে। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মালামাল আটক করা হয়। একই সাথে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় ১৯৬ জনকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।
বিজিবি সূত্র জানায়, বছরব্যাপী ৩৩ বিজিবি’র অভিযানে আটক চোরাচালানী পণ্যের মধ্যে রয়েছে, ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮২হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের ৪ কেজি ৮৮৬ গ্রাম স্বর্ণ, ৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮ হাজার ৫২৩ টাকা মূল্যের ১১১ কেজি ৭৪০ রূপার গহণা, ১ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ১৪৮ পিস ডায়মন্ড, ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪’শ টাকা মূল্যের ১২ হাজার ১৬৬ বোতল ফেন্সিডিল, ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের ১৬১৭ বোতল বিভিন্ন ধরনের মদ, ১০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যেও ৩০৮ কেজি গাঁজা, ২ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৬’শ টাকা মূল্যেও ৭৫ হাজার ৫০২ পিছ ইয়াবা ও ৪৮ কোটি ৭ হাজার ৯’শ টাকা মূল্যের অন্যান্য নেশা জাতিয় দ্রব্য।
এছাড়া পিস্তল ২টি, ম্যাগজিন ৩টি ও গুলি ১০ রাউন্ড উদ্ধার করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ আসামী আটক করা হয় ৬৬ জন। বিভিন্ন চোরাচালান পন্য সহ আটক করা হয় ৩০ জন এবং অবৈধভাবে সিমান্ত পারাপারের সময় ১৮৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ৯ জন ভারতীয় নাগরিকসহ মোট ২৯২ জন আটক করে বিজিবি।
এছাড়া বিভিন্ন সময় ইউএস এক্সপ্রেস কলিং কার্ড, জব্দকৃত প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোন, সান্ডেল, থ্রি পিছ, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক, চা-পাতা, ভারতীয় বিভিন্ন জাতের পাখি, সুখি বড়ি ও বিভিন্ন প্রকার ঔষধ আটক করা হয়।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মাদ আল-মাহমুদ জানান, সীমান্তে চোরাচালানসহ যে কোন ধরনের অপরাধ দমনে তাঁর অধীনস্ত বিজিবি সদস্যরা সব সময় তৎপর রয়েছে। এই সাহস ও প্রত্যাশার ওপর ভর করে জনগণের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় তাঁর ব্যাটালিয়ন। যেখানেই মাদক সে খানেই হানা দেওয়া হবে। কোন মাদক ব্যাবসায়ীকে সীমান্ত এলাকায় প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা। বর্তমান সীমান্তে মদক নির্মুল ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি’র জোওয়ানরা সব সময় অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, ইদানিং মাদক চোরাকারবারীরা রাতের আধারে মাদক দ্রব্য পাচার করে আনার সময় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সঙ্গে রাখে। যে কারণে বিজিবি জোওয়ানদের সবসময় ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় জনগনকে সচেতন হয়ে এরাকার চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারীদেরকে ধরার ব্যাপারে বিজিবিকে সাহায্য করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
এমআই