নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় লঞ্চের তিন মালিককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
লঞ্চের মালিকরা হলেন হামজালাল শেখ (৫৫), মো: শামীম আহমেদ (৪৩) ও মো: রাসেল আহম্মেদ (৪৩)।
মঙ্গলবার নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে তাদের ‘শ্যোন এরেস্ট’ দেখিয়ে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আগামি ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নৌ-আদালতের মামলায় তাদের শ্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো: মাসুম বিল্লাহ ও ২য় চালক আবুল কালাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো: হামজালাল শেখ, মো: শামিম আহম্মেদ, মো: রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, ইনচার্জ মাস্টার মো: রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো: মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো: খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
নৌযানটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইফ বয়া, বালির বাক্স ও বালতি ছিল না। ইঞ্জিন রুমের বাইরে অননুমোদিতভাবে অনেকগুলো ডিজেল বোঝাই ড্রাম ও রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর