সময় জার্নাল প্রতিবেদক : ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ চার্জগঠনের আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।
চার্জগঠন হওয়া মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। তারাও আদালতে হাজির ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরীমনি আদালতে হাজির হন। এরপরই মামলার শুনানি শুরু হয়। পরীমনির পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউট আব্দুল্লাহ আবু অব্যাহতির আবেদনের বিরোধীতা করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
এরপর বিচারক পরীমনিসহ তিন আসামিকে অভিযোগ পাঠ করে শুনিয়ে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে সবাই নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর বিচারক আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন।
এর আগে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এরপর গত ১৩ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেয়।
গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, পরীমনি গত ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৫ আগস্ট চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে মামলায় তৃতীয় দফা গত ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ কারাগারে থাকা পরীমনিকে অসুস্থ, নারী, অভিনেত্রী, মাদকের পরিমাণ বিবেচনায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন প্রদান। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি কারামুক্ত হন।
সময় জার্নাল/এসএ