ডাঃ জোবায়ের আহমেদ :
সুখী হবার মন্ত্র দুইটা।
১. অন্যের থেকে কিছু পাবার প্রত্যাশা ছেড়ে দিন।
২. নিজের জীবনকে অন্যের জীবনের সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন।
আপনি অনুভব করবেন, আপনি একজন প্রকৃত সুখী মানুষ।
জীবনে হতাশা আসবে কিন্ত হতাশ হওয়া যাবেনা।
কারণ কোন কিছুই এখানে স্থায়ী না।
আপনার আজ খারাপ সময়,এটা অচিরেই কেটে যাবে।
আপনার অতীত আপনি চাইলেও চেঞ্জ করতে পারবেন না।
কিন্ত আপনি চাইলেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারেন যার শেষটা মধুর হতে পারে।।
আমরা অযথা মানুষের সাথে তর্ক করতে যাই।
তর্কে কটু কথা বলে ফেলি।
তর্ক একদিন শেষ হবে।
কিন্ত কটু কথার আঘাতের রেশ অনেককাল রয়ে যাবে।
যেজন্য কথা মেপে মেপে বলা উচিত আমাদের।
অর্থহীন কথার চেয়ে অর্থপূর্ণ নীরবতা অনেক সুন্দর।
আমরা অন্যকে চেঞ্জ করতে চাই।
অন্যকে নিজের মত ভাবতে চেষ্টা করি।
কিন্ত আমরা যদি নিজেকে চেঞ্জ করায় অধিক মনযোগ দেই,তবে আমাদের জীবন অধিকতর উন্নত হতে পারে।
জীবনের সব খারাপ,অনাকাঙ্ক্ষিত মুহুর্তগুলো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষকে জীবনের উপহার ভেবে নিলে কষ্ট কম হয়।
আমি নিজে এটা করি।
আমরা অল্পতেই প্রতিক্রিয়াশীল।
সহনশীলতার চর্চা আমাদের কম।
অন্যের কষ্টগুলোকে অবজ্ঞা করবেন না।
তাদের কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন।
আজকাল আমরা অন্যের প্রতি Empathy দেখাতে পারিনা।অথচ আমাদের সবার এমপ্যাথ হওয়া উচিত।
রবীন্দ্রনাথের একটা কথা আমার মনে গেঁথে আছে।
`কাউকে নিন্দা করলে বাইরে থেকে করা যায়।
কিন্ত কাউকে বিচার করতে হলে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।'
সবসময় শুভ চিন্তা করবেন।
কিন্ত সবসময় খারাপ ফলাফলের প্রস্তুতি রাখা চাই।
Hope for the best
But prepare for the worst
জীবনে আমরা সবাই কম্ফোর্ট জোনে থাকতে চাই।
কিন্ত কম্ফোর্ট জোনে কিছু অর্জন হয়না।
সবকিছুতে সুন্দর দেখার চেষ্টা করুন।
পজেটিভ ভাবনায় আছন্ন থাকুন।
যেকোনো কিছুতে রিয়েক্ট না করে রেসপন্ড করতে শিখুন।
জীবন অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে ধরা দিবে।
সময় জার্নাল/ইএইচ