বুধবার, জানুয়ারী ৫, ২০২২
ওয়াজেদুল হক, মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের সেই রাজা ক্লিনিকের নানা অনিয়ম এবং অপারেশনের সময় বাছেনা খাতুনের পেটে কাঁচি রাখার ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারী) দুপুর ২ টায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী।
তিনি জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে রোগীর পেটে কাঁচি রাখার বিষয়টি ভুল ছিলো বলে স্বীকার করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতি পুরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজা ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা।
অপরদিকে বাছেনা খাতুনের পেটে থাকা কাঁচি বের করার জন্য বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নেয়া হলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি থাকায় অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। তবে ডায়াবেটিসের মাত্রা কম হলে অপারেশন করে পেট থেকে কাঁচি বের করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঐ ক্লিনিকের চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পিত্ত থলির পাথর অপসারণের জন্য রাজা ক্লিনিকে অপারেশন করা হয় গৃহবধু বাছেনা খাতুনের। অপারেশনের পর পেটের মধ্যে কাঁচি রেখেই সেলাই করে দেন সার্জারীর চিকিৎসক। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ওই কাঁচি পেটে নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন রোগী বাছেনা খাতুন। গত শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রেজা নাসিমের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তার পরামর্শে এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে পেটের মধ্যে প্রায় ৫ ইঞ্চি’র একটি কাঁচির সন্ধান মেলে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর