ইলিয়াস হোসেন :
টনি খান। বিশ্ব দরবারে সম্মান ও মরযাদার সঙ্গে সমাদৃত বাংলাদেশী রন্ধন শিল্পী। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নামকরা পাঁচ তারকা হোটেলগুলোর মূল তারকা টনি খান। প্রায় ৪২ বছরের হোটেল অভিজ্ঞতা তাঁর। বিশ্বখ্যাত এই সেফ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন সফলতার জন্য সততা আর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আদাবরে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘টনি খান ইন্সটিটিউট অব স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর কুলিনারি এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট’। সম্প্রতি এক বিকেলে সেখানে বসেই কথা বলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা রন্ধন শিল্পী।
জানালেন, ১৯৭৮ সালে তরুণ বয়সে সিঙ্গাপুর যাত্রা। অজানা-অচেনা দূরদেশে হোটেলে চাকুরীর সূচনা। তারপর কেবলই এগিয়ে চলা। জানার অদম্য স্পৃহা তাঁর। দীর্ঘপথচলায় বন্ধুত্ব গড়েছেন পৃথিবীর প্রায় সব খাদ্য উপাদানের সঙ্গে। কাজের সাথে পড়ালেখাও চালিয়ে গেছেন এই অদম্য বীর। সিডনি ইউনিভার্সিটি থেকে হিউম্যান নিউট্রিশনে অর্জন করেছেন স্পেশাল ডিগ্রি।
আগামীর বিশ্বমানের রন্ধন শিল্পী গড়ার স্বপ্নে প্রতিষ্ঠা করেছেন তুলেছেন ৫টি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে- ১. টনি খান কুলিনারি ইন্সটিটিউট এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা। ২. টনি খান কুলিনারি ইন্সটিটিউট এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, সিলেট। ৩. টনি খান কুলিনারি ইন্সটিটিউট এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট,যশোর, ৪. টনি খান কুলিনারি ইন্সটিটিউট এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট,খুলনা এবং ৫. শেফ টনি খান গ্লোব্যাল ইন্সটিটিউট। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে শেফ টনি খান বলেন,বিশ্ববাজারে দক্ষ হোটেল কর্মীর ব্যাপক চাহিদা। নিজের অভিজ্ঞতার আলো তিনি ছড়িয়ে দিতে চান তরুণদের মাঝে। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন সারা বিশ্বে হসপিটালিটি, হোটেল সার্ভিস, সেক্টরে বাংলাদেশিরা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবে। এমনকি নতুন কোনো হোটেল যাত্রা শুরু করতে গেলেই মাথায় রাখবে বাংলাদেশি কর্মীর কথা।
টনি আরও বলেন, শুধুমাত্র গতানুগতিক পড়াশোনা করে চাকরির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া তেমন কিছুই করার থাকে না। শিক্ষার্থিদের। তাদের মেধা বিশ্বের যে কোনো দেশের ছেলে মেয়েদের চেয়ে বেশি। বহুবার সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। শুধু সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম ছড়িয়ে দিতে। এখনে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিটি ছাত্র দেশের শুভেচ্ছা দূতের কাজ করবে বলেও মনে করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা সেফ আমাদের সবার প্রিয় টনি খান।
সময় জার্নাল/ইএইচ