বুধবার, জানুয়ারী ১২, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: শফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও খাদিজা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক করে স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরামের (এসডিএফ) নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মানুষ নিজের মত যুক্তির সাথে উপস্থাপন করা শেখে। শুধু তাই নয়, বিতর্ক চর্চা মানুষকে করে তোলে যুক্তিবাদী। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদী মন ও সঠিক চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরাম।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে এসডিএফের ২০২২-২৩ সেশনের জন্য ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন এসডিএফ এর চিফ কো-অর্ডিনেটর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল-মামুন। ফোরামটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ঘোষণাটি আসে।
নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পদে একই বিভাগের মোমতারিন তাবাসসুম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের খাদিজা খাতুন।
এছাড়াও সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে জাবেদ হাসান, কোষাধ্যক্ষ: রায়হান দেওয়ান, সহকারী কোষাধ্যক্ষ: ইউনুস ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাদনাম ইবনে সাদ , অনুষ্ঠান এবং অর্থ সম্পাদক: এইচ এম সালমান, যোগাযোগ সম্পাদক: গৌরী ভট্টাচার্য, দপ্তর সম্পাদক: রাইসা খায়রুম, ক্লাব সম্পাদকীয় সম্পাদক: সুজিত কুমার হালদার, নিয়োগ ও সদস্য উন্নয়ন সম্পাদক: মরিয়ম আজিজ মৌওরীন, ইভেন্ট সেক্রেটারি: আতকিয়া ফারিহা হোসেন ও আপ্পায়ণ সম্পাদক: হিসেবে প্রদিপাণ ধরকে কে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর বাইরে নির্বাহী সদস্য হিসেবে মেহেদী হাসান ও কৌশিক দাসের নাম ঘোষণা করা হয়।
কমিটি ঘোষণার পর পরই বিভিন্ন মহল থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয় নতুন কমিটির সদস্যদের। এসডিএফ এর ফেসবুক পেজে অনবরত শুভেচ্ছা বার্তা আসতেই থাকে। নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান এসডিএফ এর সাবেক সদস্যরা। এই কমিটির হাত ধরে এসডিএফ বিতর্কের জগতে আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অগ্রজরা।
নতুন কমিটির সভাপতি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে। দীর্ঘ বন্ধের পর এই নতুন যাত্রার নির্দেশনার দ্বায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত। আশা করি যারা আমার উপর আস্থা রেখে আমার পাশে ছিলেন তাদের আস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রাখতে পারবো।
এসডিএফ এর চিফ কো-অর্ডিনেটর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল-মামুন নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন কমিটি বিতর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে, নতুন বিতার্কিক তৈরি ও ক্লাবের উন্নতি করবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞানে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আর বিতার্কিকরা যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা রাখে, তাই তাদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে সুবিধা হয়। বর্তমান যুগ মানেই প্রতিযোগিতার যুগ। তাই, আমি শিক্ষার্থীদের আহ্বান করবো বির্তক ক্লাবের সাথে জড়িত থাকতে।তাছাড়া, সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারাটাও মানুষের একটি গুন। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ক্লাবের বিতার্কিকরা তাদের বিতর্ক প্রতিভা কাজে লাগিয়ে ভবিষৎ জীবনেও ভালো করবে’।
সাধারণ সম্পাদক খাদিজা বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন দায়িত্ব পেয়েছি অবশ্যই এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে নাম করা ক্লাব ‘এসডিএফ নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা আছে, সেগুলোকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো আমরা, এ ছাড়া ভালো বিতর্ক করা ও বিতার্কিক তৈরী করাই মূল লক্ষ্য।’
উল্লেখ্য, স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরাম ইতোমধ্যে ৯টি জাতীয়, ১টি পরিবেশ জাতীয় বিতর্ক, ১টি নারী জাতীয় বিতর্ক, ১১টি আন্তবিভাগ, ১১টি নবীনদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
/এমআই