নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে লড়ছেন দুই হ্যাভিওয়েট প্রার্থী। চার বারের নির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ পৌর মেয়র চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তিনি।
শঙ্কা ও সম্ভাবনার নাসিক নির্বাচন। ওসমান-তৈমুর-আইভী নিয়ে অবিরাম আলোচনা-সমালোচনার পর শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে শুরু হবে ভোট গ্রহণ।
এখন অপেক্ষার পালা। রোববার দেখা যাবে কতদূর গড়ায় এ জল। নির্বাচনী আমেজ আর রাজনৈতিক গুটি চালাচালির শেষ লগ্নে কার ঘরে ওঠে মেয়রের মুকুট। ভোটের দিন পরিস্থিতি নিয়ে সঙ্কায় স্থানীয়রা। অনেকেই মনে করছেন ওইদিন বাধতে পারে বড় সড় গণ্ডগোল। ভোট জালিয়াতির কোনও সম্ভাবনা না দেখা গেলেও জনগণ চাইছে 'সুষ্ঠু' নির্বাচন। তবে নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশনের বিগত দিনে ভোট কারচুপি অভিজ্ঞতা থেকে আদতে সঙ্কামুক্ত থাকতে পারছেন না স্থানীয় ভোটাররা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
সিইসি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নাসিক নির্বাচন। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থীগণ দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন প্রতীকে। ১৮৭টি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন। মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪ জন। নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচন কার্যক্রম চলবে ইভিএমে।
সময় জার্নাল/এলআর