এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের খাবাসপুরের বেসরকারী আরামবাগ হাসপাতালে সিজার করার সময় শিশুর হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন এক অবিভাবক। এ বিষয়ে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ বুধবার দুপুওে ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নানা
অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা আরিফুল আলম সজলের অভিযোগ ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার মুক্তাকে ওই হাসপাতালে সিজার করে। শিশুটির জন্মের পর তার হাতে সমস্যা আছে জানিয়ে ম্যাসেজ করতে বলেন চিকিৎসক। এরপর ১৫ ডিসেম্বর ছাড়পত্র দেয়ার পর শিশুটিকে বাসায় নিয়ে গেলেও তার অস্বাভাবিক কান্না কারনে ১৮ ডিসেম্বর স্থানীয় শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নেয়া হয়। এসময় ওই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এক্সরে করানো হয়ে হাত ভাঙ্গার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হরে। পরেশিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
তিনি দাবী করেন, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তারা বিষয়টি কর্ণপাত হরেনি। অতপর গত কয়েকদিন আগে বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করা হয়।
ইতিপুর্বেও এই প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছিল উল্লেখ করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আসাদুর রহমান জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে ইতিপুর্বে অবহিত করাও হয়েছে।
এদিকে বুধবার সিভিল সার্জন মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় এবং নানা অনিয়মের কারণে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন। তিনি জানান, তিনজন চিকিৎসক থাকার কতা থাকলেন রয়েছে একজন, ছয়জন নার্সেও স্থলে রয়েছে তিনজন। এয়াড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও নানা অনিয়ম থাকায় আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পারলে স্থায়ীভাবে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর