মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরে যারা তালা ঝুলিয়েছে তাদের তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে প্রশাসনিক এবং একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা শেষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সিংহভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুচারুরূপে কাজ করছেন। কিন্তু গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকতক স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অশালীন মন্তব্য ও সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের বিষয়ে আপত্তিকর, অবমাননামূলক ও শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরণ করেছে।
এ ধরণের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তকারীদের তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে। ইতোমধ্যে তিনি ভৌত কাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে নতুন উপাচার্য যোগদান করবেন। বিগত চার বছরে একাডেমিক কার্যক্রম একদিনও বন্ধ ছিল না। এছাড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি আগামী ২৬ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট কার্যক্রম চালু রেখে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত না করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, কুবি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা, জামাত-শিবির পন্থীদের সুবিধা প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রারকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার থেকে প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলন করছেন।
সময় জার্নাল/এলআর