স্পোর্টস ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অষ্টম আসরের তৃতীয় ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
প্রথমে ব্যাট করে ৯৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান করে ম্যাচ জিতে কুমিল্লা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাট হাতে নেমে সাবধানী শুরু সিলেটের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রামের। প্রথম ১৬ বলে মাত্র ৭ রান নিতে পারেন তারা।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এনামুলকে শিকার করে কুমিল্লাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন অফ-স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ৯ বলে ৩ রান করেন এনামুল।
প্রথম উইকেট পতনের পর মারমুখী হয়ে উঠেন ইনগ্রাম। বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে বাউন্ডারি মারার পর নাহিদুলের তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারে শহিদুলের তৃতীয় ডেলিভারিতে চার মারার পরের বলেই বিদায় নেন ইনগ্রাম। ২১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ২০ রান করেন তিনি।
আউট হওয়ার আগে দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে ২৭ রান যোগ করেন ইনগ্রাম। ইনগ্রামের আউটের পরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। ৬৫ রানে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে তাদের। মিঠুন ৫, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ৩, অলক কাপালি ৬ ও মুক্তার আলি শুন্য রানে ফিরেন। মাঝে ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ইনিংসের শুরুটা ভালো করেও বড় স্কোর করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
শেষদিকে সোহাগ গাজীর ১২ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসরিক উইলিয়ামসের ৯ রানের সাথে পুরো ইনিংসে অতিরিক্ত থেকে আসা ১৯ রানের পরও সিলেটের দলীয় স্কোর তিন অংকে পৌঁছাতে পারেনি। ১৯ দশমিক ১ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। কুমিল্লার নাহিদুল-মুস্তাফিজ ও শহিদুল ২টি করে উইকেট নেন।
ঁপডা ঁনত ৯৭ রানের জবাবে পঔঠপশ পনপস চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু-প্লেসিসকে ২ রানে আউট করেন সিলেটের স্পিনার সোহাগ গাজী।
শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠলেও, কুমিল্লার টপ-অর্ডারের কোন ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ১৬, মোমিনুল হক ১৫ ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১০ রান করেন। কায়েসের ৪ বলে ১টি করে চার-ছক্কা ছিলো।
৪ রানের বেশি করতে পারেননি আরিফুল হক। এক পর্যায়ে ৫৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা। এতে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো সিলেট। তবে আরও একটি জুটির অপেক্ষায় ছিলো কুমিল্লা। ষষ্ঠ উইকেটে সেটি করেছেন নাহিদুল ও আফগানিস্তানের করিম জানাত। ১৯ বলে ২৭ রান যোগ করেন তারা।
১৪তম ওভারে জানাতকে আউট করে সিলেটকে দারুন এক ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। পরের দুই ওভারে নাহিদুল ও শহিদুলকে থামান স্পিনার নাজমুল ইসলাম। নাহিদুল ১৬ বলে ১৬ ও শহিদুল ১ রান করেন। আর জানাত ১৩ বলে ১৮ রান করেন। এতে ৮৮ রানে কুমিল্লা অষ্টম উইকেট হারায়।
এ অবস্থায় শেষ ২১ বলে ২ উইকেট হাতে নিয়ে ৯ রানের দরকার পড়ে কুমিল্লার। উইকেটে ছিলেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অংকন ও তানভীর। পরের নয় বলে ৩ রান নিতে পারেন তারা।
এতে শেষ ২ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজন পড়ে কুমিল্লার। ১৯তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসরিক উইলিয়ামসের করা প্রথম চার বল থেকে এক-এক করে চার নেন অংকন-তানভীর। এরপর দুই ওয়াইড দিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন সিলেটের উইলিয়ামসই।
অংকন ১৪ বলে ৯ ও তানভীর ৬ বলে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। সিলেটের নাজমুল ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন সোহাগ ও মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট সানরাইজার্স : ৯৬/১০, ১৯.১ ওভার (ইনগ্রাম ২০, অতিরিক্ত ১৯, বোপারা ১৭, শহিদুল ২/১৫, মুস্তাফিজ ২/১৫)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ৯৭/৮, ১৮.৪ ওভার (ডেলপোর্ট ১৬, নাহিদুল ১৬, নাজমুল ৩/১৭)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২ উইকেটে জিতলো।
ম্যাচ সেরা : নাহিদুল ইসলাম(কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)