মো: তাজুল হোসেন, খুবি প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখের বেশি মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে পাকিস্তানী শত্রুসেনাদের পরাজিত করে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ইতিহাসের ধারক অদম্য বাংলা। এটি শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারী-পুরুষ অংশগ্রহণের এক মূর্তপ্রতীক এটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশের জন্য এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য।
মূল ভাস্কর্যের চারপাশ উঁচু বেদিতে ঘেরা। বেদির চারদিকটা টেরাকোটার কারুকার্য খচিত। যেখানে পোড়ামাটির আচরে তুলে ধরা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তর্জনি উঁচু করা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকার ও বধ্যভূমি যেখানে পাক সেনাদের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আরও রয়েছে যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর আত্মসমর্পণের গৌরবময় মূহুর্ত। এক কথায় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয় এই ভাস্কর্যটি।
ভাস্কর্যের স্থপতি শিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল তার অনন্য দক্ষতায় মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহের শৈল্পিক রূপ প্রদান করেছেন। তারই প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৫৬ তম সভায় এর নামকরণ করা হয় 'অদম্য বাংলা'। ভাস্কর্যটি নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২০১২ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ভাস্কর্যটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৪২ লাখ টাকা।
সময় জার্নাল/ইএইচ