মো: তাজুল হোসেন, খুবি প্রতিনিধি:
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) কর্তৃপক্ষ। এ সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে ৪টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে চলমান সশরীরে শিক্ষাকার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময় শিক্ষাকার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইনে অব্যাহত থাকবে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
একই সাথে প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন ও শূন্য আসনে ভর্তিও বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে জানানো হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলবে। তবে জরুরি সেবাসমূহ (বিদ্যুৎ,পানি, মেডিকেল, নিরাপত্তা, এস্টেট, ইন্টারনেট, আইসিটি ইত্যাদি) যথারীতি চালু থাকবে।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলাসহ ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও পরিচালকবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তথ্য অধিদপ্তর থেকে আজ শুক্রবার সরকারের এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে ৫টি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হয়। দফায় দফায় সেই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ফলে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজগুলো। করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করলে ২০২১ সালের সেপ্টম্বরে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
সময় জার্নাল/এলআর