আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করায় দেশটির এক টেলিভিশন সাংবাদিককে আটক করেছে তুর্কি পুলিশ। আটককৃত ওই সাংবাদিকের নাম সাদিফ কাবাস। টেলিভিশনে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে তিনি অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন।
আটককৃত সাংবাদিকের আইনজীবীর বরাত দিয়ে রোববার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। তবে ওই সাংবাদিক এরদোয়ানকে নিয়ে ঠিক কী মন্তব্য করেছেন, সেটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টায় সাংবাদিক সাদিফ কাবাসকে আটক করে পুলিশ। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সম্পর্কে বিতর্কিত ওই মন্তব্য করেন এবং পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে পোস্ট করেন। টুইটারে তার ৯ লাখ অনুসারী রয়েছেন। পরে আদালতে হাজিরের পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়।
প্রেসিডেন্টকে অপমান বা অপমানজনক মন্তব্য করা তুরস্কের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। বর্তমান আইন অনুযায়ী, তুরস্কে এ ধরনের অপরাধে কেউ অভিযুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এক থেকে চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান মুখপাত্র ফাহরেত্তিন আলতুন টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘তথাকথিত একজন সাংবাদিক টেলিভিশন চ্যানেলে আমাদের প্রেসিডেন্টকে চরমভাবে অপমান করেছে। ঘৃণা ছড়ানো ছাড়া ওই ব্যক্তির আর কোনো লক্ষ্য ছিল না।’
আলতুন আরও বলেন, ‘আমি অভিযুক্ত ব্যক্তির ওদ্ধত্য ও অনৈতিকতার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের মন্তব্য শুধু অনৈতিকই নয়, এটি দায়িত্বহীনতার পরিচয়ও।’
তবে তুরস্কের সাংবাদিকদের ইউনিয়ন কাবাসের গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘বাক-স্বাধীনতার ওপরে মারাত্মক আঘাত’ বলে দাবি করেছে। অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংস্থাগুলো অবশ্য সাংবাদিকদের আটকের মাধ্যমে তুরস্ক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করছে বলে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের তালিকা অনুযায়ী, স্বাধীন গণমাধ্যম সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে তুরস্কের অবস্থান ১৫৩তম।
এমআই