শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা মোঃ হাফিজার রহমানের নিজ উদ্যোগে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বিষয়ক সার্ভিস চালু করেছেন। সময়ের পরিক্রমায় তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তিনি জয়ী সফট টেক্স (জেএসটি বাংলাদেশ) নামক একটি ভ্রাম্যমান আইটি ফার্ম স্থাপন করেন।
জানা গেছে প্রথমত তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। উপজেলার প্রায় সকল উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় তার দেওয়া ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গ্রহণ করেন এবং শতভাগ ডিজিটাল পন্থায় শিক্ষার্থীদের সার্ভিস প্রদান করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের তরুন উদ্যোক্তা মোঃ জামিল মাহমুদ, রেদওয়ানুল কবির ও রাকিবুল হাসান সহ মোট ৪ জনের মেধায় ও কঠোর পরিশ্রমে লালমনিরহাট জেলায় এখন “জেএসটি বাংলাদেশ” একটি পরিচিত নাম হয়ে দাড়িয়েছে। করোনাকালীন সময় জেএসটির “ঘরে বসে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম” ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নজরে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উক্ত বিষয় অনুসন্ধ্যান করতে গিয়ে বড়খাতা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ নূর-ই-এলাহী বকুল বলেন, পূর্বে অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি এসে সেবা প্রদান করছে কিন্তু জেএসটি বাংলাদেশ নামক কোম্পানিটি তাদের সার্বক্ষণিক ডিজিটাল মনোভাব করোনাকালীন সময় আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে লেখাপাড়ার সুযোগ সৃষ্টি করায় বর্তমানে তারা উপকৃত। আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি।
সম্প্রতি জেএসটি বাংলাদেশ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্যোক্তার আয়বৃদ্ধিকরণের জন্য জেএসটি উদ্যোক্তা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করে। বর্তমান প্রায় ৭০০ অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উক্ত ম্যানেজমেন্ট থেকে সার্ভিস প্রদান করছে। উক্ত ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে ১০০+ সার্ভিস চালু করার আশা প্রত্যয় করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উদ্যোক্তা হাফিজার রহমান। ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, জন্ম সনদ যাচাই, বিভিন্ন প্রকার সনদ, ডিটুডি সার্ভিস, ডিপিবি সার্ভিস, এসএমএস সার্ভিস, ফেসবুক পেজ বুস্ট সহ নানা প্রকার সার্ভিস www.jst.com.bd ডোমেন্ট এর মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে।
জেএসটিতে সার্ভিস নেওয়া কয়েকজন উদ্যোক্তার স্বাক্ষাৎকারে বলেন জেএসটি একটি সম্ভবনাময় উদ্যোক্তা আয় বৃদ্ধি করণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে সকল সার্ভিস প্রদান করে আসছে তা আমরা ব্যবহার করে সময় ও মূল্যকে কাজে লাগিয়ে জনগনকে অতিদ্রুত সকল প্রকার সার্ভিস প্রদান করতে পারছি। আমরা আশরা করি দ্রুত জেএসটিতে বাকি সকল সার্ভিস সংযুক্ত হলে সাধারণ জনগণের হয়রানি হ্রাস পাবে এবং প্রতারণা মূলক কার্যক্রম বন্ধ হবে।
এমআই