বুধবার, জানুয়ারী ২৬, ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের কাছে ২৫০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মিশরের ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিরাজমান উদ্বেগের মধ্যেই মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলো। এই অনুমোদনের ফলে মিশরের কাছে সামরিক বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডার বিক্রি করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়, মিশরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এই কারণ দেখিয়ে গত বছরও দেশটির কাছে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি আটকে দেয়া হয়েছিল। এই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র মিশরের কাছে ছাড়বে কিনা শিগগিরই সে সিদ্ধান্ত জানাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এর কয়েকদিন আগেই নতুন করে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করলো বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তির অধীনে মিশরের কাছে ২.২ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান ও ৩৫৫ মিলিয়ন ডলারের রাডার প্রযুক্তি বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন করে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। বলা হয়, মিশর যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্র এবং তাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মিশরের কাছে আরও ১৭০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগের জেরে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলের আইনপ্রনেতারা মিশরের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে। তারা বলছেন, মিশরের মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্ত্র বিক্রির পরিবেশের সঙ্গে মোটেই সাযুজ্যপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিশরের কাছে অস্ত্র পাঠাতে হলে অবশ্য ওই মানদ- রক্ষা করতে হবে। পররাষ্ট্র দপ্তর সুস্পষ্ট করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ১৩০ মিলিয়নডলারের সামরিক সহায়তা আটক রাখা হয়েছে তার সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির সম্পর্ক নেই। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মিশরের কাছে ১২টি সি-১৩০ জে-৩০ সুপার হারকিউলেস বিমান ও প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জামাদি এবং তিনটি ভূমিভিত্তিক রাডার বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর