নিজস্ব প্রতিনিধি: রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি। অসংক্রামক রোগ যেহেতু সংক্রামক রোগের মত চমক সৃষ্টি করতে পারে না। সে কারণে রোগীরা অবহেলিত থেকেই যান। এখন থেকে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরকারেরও চেষ্টা করা উচিত।
আজ শুক্রবার প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের সমাপনী দিনের প্রথম পর্বে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২৬শে জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলন ২৮শে জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ -এগুলোকে নীরব ঘাতক আখ্যা দিয়ে সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এই সব রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি।
বিশেষ করে হাওড় অঞ্চলে আমাশয় রোগ বেশি।
মন্ত্রী নিজেও আমাশয় রোগে ভোগার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যখন হাওড়ে ছিলাম তখন দেখেছি আশ্বিন-কার্তিক মাস আসলেই একটি মানুষও বাকি থাকতেন না আমাশয়হীন।
দেশে জরুরি কোনো আঘাত আসলে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের এখনো কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে জরুরি কোনো আঘাত আসলে তা রুখতে কোপ ক্যাপাসিটি অনেক ভালো। আমাদের সেই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজ করছেন।
কমিউনিটি ক্লিনিকে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে কমিউনিট ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ৩২ ধরনের ওষুধ ফ্রি দেয়া হয়। এটা বড় ব্যাপার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফায়েজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসদুল আলম, গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. জেমস মিলার, ওজিবিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।
সময় জার্নাল/এলআর