রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসে শুক্রবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিছুর রহমান। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিছুর রহমান জানান, আরো দু’একদিন তাপমাত্রা কমতে পারে।
এদিকে তাপমাত্রা কমতে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার মানুষজন। বোরা চারা রোপনের ভরা মৌসুম চলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকরা। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন তারা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের কৃষি শ্রমিক আমজাদ হোসেন জানান, এ সময়টা বোরো চারা রোপনের সময়। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল কিন্তু বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ঠান্ডার মাত্রা একেবারেই বেড়ে গেছে। এদিকে চারা রোপনের জন্য তৈরি করা জমিতে চারা লাগনোটা জরুরী। এজন্য খুব কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে। বেশি সময় পানিতে থাকা যাচ্ছে না।
এতে করে বিপাকে পড়েছেন অন্যান্য শ্রমজীবিসহ অসহায় মানুষেরা। গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক মোসলেম উদ্দিন জানান, এ বছরের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে। হাতপা পর্যন্ত বের করা যাচ্ছে না। দিনের বেলা কোন রকমে চলাফেরা করা গেলেও সন্ধা নামার আগেই বেড়ে যাচ্ছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। দিনে টুকিটাকি ভাড়া মিললেও সন্ধা নামার আগেই আর ভাড়া মিলছে না। এ অবস্থা যে কতদিন চলে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক অফিস সুত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারী-বেসরকারী ভাবে প্রায় ৮০ হাজার কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর