মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি। দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চিনা নাগরিক ও খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৬৭জন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরো অর্ধশত কর্মকর্তা অসুস্থ হয়েছেন। খনির অধিকসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের ছুটি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বড়পুখুরিয়া কয়লাখনি সূত্রে জানা গেছে, কয়লাখনিতে কর্মরত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি’র এক্সএমসি’র ৩৬ জন চিনা কর্মকর্তা ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিমিটেড’র (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৩১ জন বাংলাদেশী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত ও অর্ধশত কর্মকর্তা করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় খনিতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে গত শুক্রবার সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় খনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানী সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, “তাপ বিদ্যুাতের অভ্যন্তরে দুই লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। এই কয়লা শেষ হওয়ার পূর্বে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। তবে তাপ বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে না।”
কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান মোবাইলে নিজে করোনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করে বলেন, “খনিতে ২৯৩জন চিনা নাগরিকের মধ্যে ১৮৪জনের করোনা পরীক্ষা করে ৩৬জনের শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া গেছে। একইভাবে বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিমিটেড’র (বিসিএমসিএল) ৭২জন কর্মকর্তার করোনা পরীক্ষা করে তিনিসহ (এমডি) ৩১জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এছাড়া খনির অর্ধশত কর্মকর্তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকার কারণে খনিতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।”
সময় জার্নাল/আরইউ