মোঃ সাখাওয়াত হোসেন:
মহামারী কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজে ক্লাসবিহীন সংক্ষিপ্ত সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার ফলাফল হিসেবে গণফেল এর শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে।
সাত কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপর এ কেমন অবিচার, একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে একি অরাজক পরিস্থিতি, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সিজিপিএ নিয়ে পাশ না করলে এবং কোন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফেল করলে তাকে সব বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষার হলে বসতে হবে।
পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া ৭ কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য এ এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার নাম, শুধুমাত্র অকৃতকার্য হওয়ায় ফল হিসেবে একজন শিক্ষার্থীকে এই অকৃতকার্য বিষয়ের মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে ফলাফল সমন্বয় করতে যে পরিমান কষ্ট সহ্য করতে হয় তা খুবই হতাশাজনক।
সবচেয়ে দুভার্গ্যজনক বিষয়ে হলো একটি ডিপার্টমেন্ট এর কতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং কতজন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এসব বিষয়ে কোন সচ্ছ তথ্য উল্লেখ করছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসব নিয়ে উদাসীনতাও আছে ৭ কলেজ কর্তৃপক্ষেরও।
এই সমাজে এবং পরিবারে মাস্টার্স ফাইনাল এক্সাম দেওয়া একজন শিক্ষার্থীদের কাছে কতটুকু প্রত্যাশা থাকে তা হয়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজ কর্তৃপক্ষ কখনো অবগত নয়। এই মহামারী কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও মাত্র দু'ঘন্টা পরীক্ষা দিয়ে এরকম পরিস্থিতি কতটা আক্ষেপ এবং কষ্টের শুধুমাত্র ৭ কলেজ পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীই জানে।
শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এই গণহারে ফেলের বিষয়ে কোন দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহি করার কোন জায়গা নেই বলেই, এই অসচ্ছতার বলি হচ্ছে ৭ কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সময় জার্নাল/এমআই