এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেন্ডার খোলা নিয়ে তালবাহানার অভিযোগ করেছে ঠিকাদার মো ওহিদুর রহমান।
অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৬শে জানুয়ারী ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরবরাহের ৫ গ্রুপ ১৬ কোটি টাকার টেন্ডার ড্রপ হয়। টেন্ডার ড্রপিং এর শেষ সময় ছিল ঐ দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ঠিকাদারদের সামনে প্রকাশ্য টেন্ডার বাক্স খোলবে এবং কোন ঠিকাদার দরপত্রে সর্বনিন্ম দর দাতা হয়েছে তা জানাবে কিন্তু দীর্ঘ ১ সপ্তাহ পার হলেও কোন টেন্ডার খোলা হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুর রহমান ও প্রধান সহকারী সামসুর রহমান ও ঠিকাদার অহিদুর রহমান জানান, প্রধান সহকারী সামসুর রহমান দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এ হাসপাতালে কর্মরত আছে এবং ২০ বছর ধরে একটি চক্রকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে এবং নিজেও তাদের সাথে ঠিকাদারীর কাজ করে থাকে। ঐ চক্রকে টেন্ডার দেওয়ার জন্য তালবাহানা করছে প্রধান সহকারী সামসুর রহমান।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা সাইফুর রহমান জানান, টেন্ডার ওপেনিং কমিটি হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ও টেন্ডার মুল্যায়ন কমিটি হয়েছে ৭ সদস্য বিশিষ্ট যার যাচাই বাছাই চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে ফরিদপুরের একাধিক ঠিকাদার জানান, শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির হোতা প্রধান সহকারী সামসুর রহমান, পর্দা কেলেঙ্কারীর প্রধান হোতা এই সামসুর রহমান, অথচ ওনার হলোনা কিছুই? এ দুর্নীতির জন্য তিনজন ভাল ডাক্তারের চাকরী চলে গেলো। আমরা প্রধান সহকারী সামসুর রহমানের অন্যত্র বদলী দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন জানান, প্রধান সহকারী সামসুর রহমান বিএনপি–জামাত জোটের এজেন্ট। ও কি করে দীর্ঘ ২৭ বছর একই কর্মস্থলে চাকরি করছে। আমি অনুরোধ করছি স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালককে যেন সামসুর রহমানকে দ্রুত অন্যত্র বদলী করা হয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এমআই