রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নিওকোভ ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার সময় আসেনি

সোমবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২২
নিওকোভ ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার সময় আসেনি

ডা. আবু সাদাত মোহাম্মদ সালেহ :

নিওকোভ ভাইরাস নিয়ে এখনো উদ্বিগ্ন হবার সময় আসেনি। 
আসুন দেখে নেই এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞগন কী বলছেন?
হঠাৎ করেই কয়েকদিন যাবত বিশ্ব মিডিয়াতে NeoCov (নিওকোভ) নিয়ে কথা হচ্ছে। চীনের উহানের কিছু বৈজ্ঞানিকের বরাতে জানা যায় এটি MERS ভাইরাসের সমগোত্রীয়, এবং যদি এর সাথে SARS-Cov 2 (যা কোভিড ১৯ রোগ সৃষ্টি করে) মিক্সিং হয় তাহলে তা মানব দেহে প্রবেশ করতে পারে এবং তাহলে তা তুলনামূলক ভাবে একটি মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিতে পারে। 

এবার একটু ভেতরে যাই চলুন; দেখুন বাইনোমিয়াল নমেনক্লাচার বা বৈজ্ঞানিক ক্লাসিফিকেশন অনুযায়ী যেকোন জীবের কিংডম থেকে স্পেসিস পর্যন্ত স্পেসিফিকাল্লি প্রমান সাপেক্ষে প্রত্যেক প্রজাতিকে বিভাজন করা হয়। এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির ফেনোটাইপিক ও জিনোটাইপ স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য থাকবেই।

আমরা যে করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তা করি তা মূলত Nidovirales অর্ডারের অন্তর্ভুক্ত Coronaviridae ফ্যামিলির। এই ফ্যামিলির দুইটি সাব-ফ্যামিলির একটি হল Orthocoronavirinae যার আবার চারটি Genus রয়েছে যথা Alfacorovirus, Betacorovirus, deltacoronavorus & GammaCoronavirus. এই Betacorovirus এর আবার চারটি Lineage হচ্ছে A,B,C & D; আলোচিত নিওকোভ হল Lineage C এর অন্তর্ভুক্ত যা MERS বা Middle east respiratory Syndrome Virus এর সমগোত্রীয় এবং সাংঘাতিক মারনাত্মক । অন্যদিকে কোভিড ১৯ সৃষ্টিকারী SARS-Cov 2 ভাইরাসটি Lineage B এর অন্তর্ভুক্ত যার নানারকমের স্ট্রেইন এর মধ্যে ডেল্টা, ওমিক্রন, ল্যাম্বডা, বিটা, ইহু ইত্যাদি এসেছে। যদি কোনভাবে একই প্রানীর দেহে নিওকোভ ও SARS-Cov 2 একই সময়ে বিরাজমান থাকে (Co-Infection), এবং যদি পর্যাপ্ত পরিবেশ  ও সুযোগ  পায় তাহলে তাদের মধ্যে জেনেটিক সিকোয়েন্স এর আদান প্রদানের মাধ্যমে যে কোন একটির বা উভয়েরই ফেনোটাইপিক বা দৈহিক বা বাহ্যিক এবং জেনোটাইপিক বা গুনগত চরিত্রের মধ্যে একই সাথে উচ্চ মারনঘাতী (নিওকোভ এর বৈশিষ্ট্য) ও উচ্চ সংক্রমনতা ( SARS-Cov 2 এর বৈশিষ্ট্য) দেখা দিতে পারে, যাকে মাইক্রোবায়োলজির ভাষায় বলা হয় Reassortment. এই যে জেনেটিক সিকোয়েন্স আদান প্রদান হবে তার জন্য ইন্টারসেলুলার সিগন্যাল লাগে, এরপর নির্ধারিত হয় টোটাল প্যাকেজ না র‍্যান্ডম প্যাকেজ এক্সচেঞ্জ হবে; সে অনেক কথা, তা আর নাই বললাম; অর্থাৎ এত সোজা না। এমন হলে পৃথিবীতে অনেক আগেই দূর্যোগ চলে আসত। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেহে এবং এমনই ঐ ভাইরাসদের দেহেও রেপ্লিকেশন ইনহিবিটর বা সিগন্যাল ব্লকার প্রোটিন দিয়ে রেখেছেন। তবুও বিপদের ন্যুনতম সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাবে না, আবার ঘাবড়ানোও যাবে না। লেট'স সি।। এনিওয়ে, যা বলছিলাম- NeoCov একটি পুরোনো ভাইরাস, সাউথ আফ্রিকায় আগে থেকেই বাঁদুর এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্যাথোলজেনেসিস বলে যে, বাঁদুরের ফুসফুসে একধরনের এনজাইম ACE2 ( Angiotensin Converting Enzyme 2) এর রিসেপ্টর এর মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করে। মানব ফুসফুসের ACE2 রিসেপ্টর ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ করার ক্ষমতা এখনও পর্যন্ত অর্জন করতে পারে নাই এই ভাইরাসটি। কিন্তু মানব দেহে একে প্রবেশ করতে গেলে এক বা একাধিক Reassortment (মিউটেশন) দরকার হবে।

যাহোক, WHO বলেছে এখন পর্যন্ত NeoCov ভাইরাসে কোন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এমন কোন প্রমান নাই তবে তারা এই ব্যাপারে যথেষ্ট কনসার্নড্‌, এবং এই ব্যাপারে আরো  গবেষণা দরকার।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল