বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২
রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে গণপূর্ত বিভাগ গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী আবিল আয়ামের বিরুদ্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও কারচুপি করে কতিপয় ঠিকাদারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগে এ পি পি’র ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার বরাদ্ধ আসে। এই টাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আবিল আয়াম এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেওয়ান মাওদুদুর রহমানের যোগসাজসে কতিপয় ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০% হারে টাকা গ্রহণ করে এল টি এম (খঞগ) পদ্ধতিতে টেন্ডার না করে ওটিএম (ঙঞগ) ১০% বারে প্রাক্কলিত মূল্য গোপন রেখে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় কুড়িগ্রামে গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত অন্যান্য ঠিকাদারগণ। এ নিয়ে গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত সাধারণ ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার জানান, আমরা শুধুমাত্র গণপূর্ত বিভাগেই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। বর্তমানে করোনাসহ নানা দূর্যোগে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমরা গণপূর্ত বিভাগের পূর্বের সম্পন্ন কাজের কোন প্রকার বিল পাইনি। আমরা আশা করেছিলাম অন্তঃত কিছু বিল প্রদান করে নির্বাহী প্রকৌশলী আবিল আয়াম বাকী টাকার টেন্ডার এল টি এম (খঞগ) পদ্ধতিতে করবেন। কিন্তু তিনি তা না করে কতিপয় ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০% হারে উৎকোচ নিয়ে পুরো টাকার টেন্ডার ও টি এম (ঙঞগ) পদ্ধতিতে করায় আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। সম্পন্ন কাজের পাওনা টাকা না পেয়ে এবং নতুন কাজের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে না পেরে আমরা পথে বসার উপক্রম হয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনার পাশাপাশি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রামে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আবিল আয়ামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। এই মহুর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না।
বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এর ব্যক্তিগত মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেওয়ান মাওদুদুর রহমান জানান, আমার জানামতে সরকারের নিয়ম মেনেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে কোনো ঠিকাদারের স্বার্থ ক্ষুন্ন হলে তারা এমন অভিযোগ করতে পারে।
সময় জার্নাল/ইএইচ