ডা. অপূর্ব চৌধুরী, লন্ডন, ইংল্যান্ড :
শরীরের অনেক ফুটা থাকে। ছেলেদের আট ফুটা, মেয়েদের একটা বেশি। মেয়েদের নয়টি। বর্জ্য বের হতে নারী পুরুষ, উভয়ের দুই ফুটা মাত্র। একটি পেশাবের, আরেকটি পায়খানার।
পেশাব ধরলে শুধু পেশাব করে লোকে। কিন্তু পায়খানা ধরলে সাথে পেশাবও ধরে কেন। নিশ্চয়ই এটা কখনো চিন্তা করেননি!
পেশাব এবং পায়খানার রাস্তায় দুটো গেট আছে। এই গেটগুলোকে বলে ইসফিঙটার। এই গেট অন-অফ লক করেই আমরা পেশাব পায়খানা নিয়ন্ত্রণ করি। না হলে ছেচ্চেরি ধরলে যেখানে সেখানে ছেছেঃ করে দিতেন!
কিন্তু পায়খানায় বসলেই দেখেন পায়খানার সাথে পেশাবও শুরু করে দিয়েছেন। অথচ পেশাবের কোনো তীব্রতা ছিল না। পেশাবের চাপ না থাকলেও হালকা বৃষ্টিপাতের মতো ঝাপটা হলেও মারবেন!
যাইহোক। পেশাব-পায়খানা বের হওয়ার ব্যাপারটি তীব্রতার চেয়ে এই ইসফিঙটারের উপর নির্ভর করে। সাথে রয়েছে মস্তিষ্কের যোগাযোগ। এই ইসফিঙটার রিলাক্স হলেই দুই রাস্তা খুলে যায়। ইসফিঙটার গুলো মাসল দিয়ে তৈরী। মাসলগুলোকে মাথা এবং শরীর দিয়ে সঙ্কুচিত করে রাখলে ফুটা বন্ধ থাকে।
পেশাবের রাস্তার গেট ছোট। পায়খানার রাস্তার গেট বড়ো। অনেকটা যেন অনেকের বাড়ির গেটে দুইটা গেট থাকে একই গেটের মধ্যে। একটি ছোট গেট এবং সেটিকে ঘিরে মূল বড়ো গেট।
শুধু পেশাব ধরলে ছোট গেট খুলে। কিন্তু পায়খানা ধরলে পায়খানার বড়ো গেট পুরাটাই খুলতে হয়। শরীরের নিচের অংশে তাই চাপ পড়ে। পায়খানার বড় গেট খোলার চাপে পেশাবের ছোট গেটের দরজাও খুলে যায়। বাড়ির বড় গেট খুলতে হলে যেমন গেট দুটাই খুলতে হয়। ব্যাপারটি ঠিক এমন।
তাই শুধু পেশাব ধরলে পেশাব করে, কিন্তু পায়খানা ধরলে সাথে পেশাবও করে!