স্পোর্টস ডেস্ক:
আফ্রিকার শ্রেষ্ঠত্ব ধরা দিতে দিতেও দেয়নি মোহামেদ সালাহর হাতে। তবে সে দুঃখ ভুলে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে তিনি ফিরেছেন মাঠে। তার ফেরার দিনে অবশ্য আলো কেড়ে নিয়েছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ডিয়েগো জোটা। রোনালদোর জাতীয় দল সতীর্থের জোড়া গোলেই লেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে লিভারপুল, ব্যবধান কমিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে।
লেস্টারের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ তিন ম্যাচে জয় ছিল না লিভারপুলের, হেরেছিল শেষ দুই লিগ ম্যাচেই। গত রাতে জয় তুলে নিতে না পারলে শীর্ষে থাকা ম্যানসিটির শিরোপার পথটা আরেকটু পরিষ্কারই হয়ে পড়ত। আগের রাতেই যে ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়ে শীর্ষে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল সিটি।
অ্যানফিল্ডের এই ম্যাচে শুরুর চোখরাঙানিটা দিয়েছিল লেস্টারই। অষ্টম মিনিটে জেমস ম্যাডিসন দারুণ এক শট করেন বক্স থেকে, তবে তা ফিরিয়ে লিভারপুলকে বিপদমুক্ত করেন অ্যালিসন বেকার। মিনিট দশেক পর প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণে ওঠে স্বাগতিকরা। তবে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের জোরালো শটটা ঠেকিয়ে দেন লেস্টার গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মেইকেল।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে অপেক্ষা শেষ হয় লিভারপুলের। ট্রেন্টের কর্নার থেকে প্রথমে হেড করেছিলেন ভার্জিল ফন ডাইক, তা প্রতিহত করলেও জোটার ফিরতি চেষ্টা আর ঠেকাতে পারেননি স্মেইকেল। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। বিরতিতেও যায় এই ব্যবধান নিয়েই।
৬০ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনোকে তুলে সালাহকে মাঠে আনেন কোচ ইউর্গেন ক্লপ। মাঠে আসার ১৫ মিনিটের মাথায় দারুণ এক সুযোগও পেয়ে বসেছিলেন তিনি, তবে স্মেইকেলের বাধায় সেটা আর জালে জড়ায়নি। একটু পর লেস্টার গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বাধ সাধে ভাগ্য, বাম পায়ের বাকানো ট্রেডমার্ক শটটা গিয়ে প্রতিহত হয় ক্রসবারে। ফলে গোল আর পাওয়া হয়নি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে গিয়ে জয় নিশ্চিত করা গোলের দেখা পায় লিভারপুল। এই গোলটাও এসেছে কর্নার থেকেই। কর্নার থেকে সুযোগ পায় লিভারপুল, তবে তা ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে পারেনি লেস্টার। ফলে বক্সে বলটা পেয়ে যান অল রেড ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপ, তার পাস থেকে জোটার শট গিয়ে আছড়ে পড়ে লেস্টারের জালে। তাতে ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের।
এমআই