নিজস্ব প্রতিবেদক। রাজধানীতে শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, দোকানদার ও ফুটপাতের হকারদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।
টিকা দেওয়ার জন্য ঢাকা শহরকে ৯টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দিন ১০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। পরে ঢাকা শহরের অন্যান্য জোনে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই শ্রেণির মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।
সরকারের করোনা টিকাদান ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, এই শ্রেণির মানুষদের টিকা নিতে নিবন্ধন লাগবে না। টিকা কেন্দ্রে তার নাম ও ঠিকানা লিখে রাখা হবে। প্রত্যেককে একটি কার্ড দেওয়া হবে, যাতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারে।
সরকার বাদ পড়া চার শ্রেণির মানুষকে করোনার টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এর মধ্যে ভাসমান মানুষ ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ২৩ হাজার ৪০৬ ও কওমি মাদ্রাসার ৪ হাজার ৪১৮ জন শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে শ্রমিক ও কর্মচারীদের টিকাদান। অবশিষ্ট স্কুলে যায় না এমন ১২-১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরও টিকা দেবে সরকার।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কর্মচারী, শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, হকার-সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। দুদিন পর বলে দেব, টিকা ছাড়া কোনো লোক মার্কেটে আসতে পারবে না, ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসতে পারবে না। এই শ্রেণির মধ্যে হোটেল কর্মচারীরাও রয়েছে। আমরা তাদেরও বলেছি। প্রথম দিন ১০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সিনোভ্যাক টিকা পাবে তারা।’
সময় জার্নাল/আরইউ