ঘুরে দাঁড়ালেই হবে ভূমিকম্প
-শেখ ফাহমিদা নাজনীন
তারা ছিলো সেইদিন জনাচল্লিশ,
আরব্য রজনীর চোরের মতো,
তেমনি কুটিল আর হিংস্রতা ভরা,
পা মাড়িয়ে কলহের তীব্র মানস।
মাত্র পনেরো থেকে বয়সের শুরু,
হয়তো পঁয়ত্রিশে তার সীমারেখা টানা।
এ বয়স জীবনের উন্মাদনায়
সৃষ্টির আনন্দে মত্ত থাকে,
এ বয়স পৃথিবীকে আশাবাদী করে,
বয়সটা জানে শুধু বন্ধুত্ব।
অথচ সে চল্লিশ কূপমণ্ডূক,
এমনই আপদ যেন পৃথিবীর বোঝা,
তাদের সে উৎকট অট্টহাসি,
কদর্য শ্লোগানের নাচন, কুঁদন।
পৃথিবীর কোনো শুভ, শান্তি বাণী,
কক্ষনো সে দলের সার্থ দেবেনা।
তারা থাকে চিরকাল পরিত্যাজ্য,
ইতিহাসে নাম হয় অভিশপ্ত,
অন্যের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে গিয়ে,
অজান্তে পড়ে যায় দুর্বিপাকে।
তাদের উল্টো দিকে সিংহী সে মেয়ে,
সে তখন জীবন্ত রণচণ্ডী,
তার শুভ হুংকারে মিউ মিউ ডাকে
বাঘ্রশাবকগুলো বিড়াল হয়ে।
দু'একটা দিন নয় ইতিহাস জানে,
ভারতের মাটি যাকে সংকর বলো,
যেখানে বসত করে অসংখ্য প্রাণ,
ধর্ম-বর্ণ-ভাষা একাকার হয়ে।
গনতন্ত্রের মহামিলন নিবাস,
সেখানে জ্বলছে চুলো হাজার বছর,
ধর্ম পুড়ছে, পোড়ে ঐশী বাণী,
তাওহীদ সে মাটিতে নির্বাসিত।
মোঘল কন্যা কাঁদে ঘর হারিয়ে,
মোঘল কন্যা বাঁধে ফুটপাতে ঘর,
মোঘল কন্যা তবু সর্ব সহা,
বঞ্চনা ভুলে ডোবে বইয়ের পাতায়।
নরম মাটির দেহে আভিজাত্য,
আকাশচুম্বী তার মর্যাদাবোধ,
সম্ভ্রমে কেউ যদি আঘাত করে,
জেগে ওঠে মোঘলের রাজকন্যা।
তাওহীদী হুংকারে কেঁপে ওঠে মাটি,
কেঁপে ওঠে ভারতের আদি ইতিহাস,
আরব্য রজনীর চল্লিশ চোর,
শুনে নিও তোমাদের গুরুদের কাছে।
খাওলার সৈন্যরা আজও জেগে আছে,
ঘুরে দাঁড়ালেই হবে ভূমিকম্প।
শেখ ফাহমিদা নাজনীন
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।