বিনোদন ডেস্ক: একই অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী থেকে বিচারক। এই গল্প বসতি থেকে উঠে বলিউড জয় করা এক স্বল্প উচ্চতার মেয়ের নেহা কাক্কারের।
বলিউডের সঙ্গীত জগতে নিজের পায়ের তলার মাটি মজবুত করতে একটা লম্বা রাস্তা অতিক্রম করতে হয়েছে সময়ের এই জনপ্রিয় গায়িকাকে। সেই রাস্তা মোটেই সহজ ছিল না। ছোটবেলায় তার বাবা সিঙ্গারা বিক্রি করতেন। ছোট থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ থাকার জন্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভক্তিগীতি গাইতেন। কিন্তু তার দুচোখে ছিল বড় স্বপ্ন। তাই ভাই টনি কক্কর কে নিয়ে তিনি মুম্বাই চলে আসেন স্বপ্নপূরণের তাগিদে।
উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশের মেয়ে বলিউডে পা রাখার স্বপ্ন নিয়ে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ সিজিন ২-এ অংশ নেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি শেষ আটে পৌঁছানোর আগেই ছিটকে যান।
কিন্তু শো থেকে বাদ পড়া সেই নেহা সময়ের চাকা ঘুরতেই ওই একই অনুষ্ঠানের বিচারকের আসনে বসে বিচারত্ব করেছেন। ইন্ডিয়ান আইডলের সিজিন ১০, ১১ এবং ১২-এ স্বগর্বে বিচারকের আসনে বসেছেন তিনি।
বলিউডের পার্টি সং থেকে শুরু করে স্যাড সং নেহার সকল ধরনের গান শ্রোতাদের প্লেলিস্টে ঘোরাফেরা করে। মন খারাপ থেকে বিন্দাস মুড সব ঋতুতেই ফিট নেহা কাক্কার। তার হিট লিস্টে যেমন সানি সানি, দিলবর কিংবা গারমি রয়েছে, তেমনই রয়েছে মিলে হো তুম হামকো, আখিয়ার মতো গান।
বাংলা সিনেমাতেও তার হিট গানের সংখ্যা কম নয়। পার্টি সুজ, ম্যাজিক মামনি, রিমিক্স কাওয়ালি থেকে শুরু করে ডেসি ছোরির মতো হিট গান রয়েছে তার গানের তালিকায়।
যেই নেহা ছোটবেলাতে নেহা গ্রামে গঞ্জে ঘুরে সারা রাত ঠাকুরের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাত্র ১০০ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন সেই নেহা এখন এক গানেই লাখ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পান। ভাগ্যের চাকা ঘুরে সেই বস্তির নেহা আজ বলিউডের সবচেয়ে দামী শিল্পীদের একজন। যার বাড়ির সামনে মিউজিক ডিরেক্টরদের লাইন লেগে থাকে।
শুধু নেহা নয়, নেহার বড় বোন সোনু কাক্কার এবং ছোট ভাই টনি কাক্কারও গানের জগতের উজ্জ্বল তারা। তাই বলাই যায় বলিউডে কাক্কারদের জোর টক্কর দিতে হিমশিম খেতে হয় বড় বড় শিল্পীদের। ]
এমআই