আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে এবার রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিল উন্নত দেশসমূহের গ্রুপ-৭। এক যৌথ বিবৃতিতে জি -৭ গ্রুপের অর্থ মন্ত্রীরা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জি-৭ এর অর্থমন্ত্রীরা ইউক্রেনের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে দ্রুত এবং সংকল্পবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
এতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ফের কোনো রুশ আগ্রাসন হলে আমরা দ্রুত সমন্বিত এবং শক্তিশালী জবাব দেব। রাশিয়াকে ‘অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ দেওয়া হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এর ফলাফল হবে ভয়াবহ।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া বলছে. ইউক্রেনে কোনো হামলার পরিকল্পনার নেই তাদের। পশ্চিমা কিছু দেশ সতর্ক করে বলেছে, সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র আরও এক ধাপ এগিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে।
এদিকে সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক চায় ইউক্রেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আলোচনায় বসতে চায় ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্রো কুলেবা অভিযোগ করে বলেছেন, সেনা মোতায়েনের কারণ জানাতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ উপেক্ষা করেছে রাশিয়া।
জি-৭ কারা
জি-৭ এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হল গ্রুপ অফ সেভেন, বা সাতটি দেশের দল। বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির সাতটি বড় দেশ ও একটি সংস্থা নিয়ে এই জোট গঠিত। জোটের সদস্য দেশ হল কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই জোটের একটি অংশ। রাশিয়া ১৯৯৮ সালে এই জোটে যোগ দিলে সেটা জি-৮ হয়েছিল। তবে ক্রিমিয়া দখল করার কারণে ২০১৪ সালে রাশিয়া বাদ পড়ে যায়। চীন একটি বড় অর্থনীতি এবং বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা কখনও এই জোটের সদস্য ছিল না। কোন দেশে মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম থাকলে ওই দেশকে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মতো উন্নত অর্থনীতি হিসাবে দেখা হয় না।
সময় জার্নাল/আরইউ