শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

হাইকোর্টে লিয়াকত-প্রদীপের আপিল

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২
হাইকোর্টে লিয়াকত-প্রদীপের আপিল

সময় জার্নাল প্রতিবেদক :

সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী। আপিলে বিচারিক আদালতের রায়কে তাড়াহুড়ার রায় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আপিলে উভয় আসামির খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত গণমাধ্যমকে বলেন, দুই আসামির ফাইল গত দুই দিনে করা হয়েছে। আবেদনে আমরা বলেছি, বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে যে রায় ও আদেশ দিয়েছেন, তা সুষ্ঠু বিচার বিশ্লেষণ করে হয়নি। রায়টি তাড়াহুড়া করে দিয়েছে। আমাদের আপিলটি শুনানি করে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল ও রদ করার আর্জি জানিয়েছি।

উচ্চ আদালতে রানা দাশগুপ্ত ছাড়াও প্রদীপের পক্ষে লড়বেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার সিফাত মাহমুদ, আসামি লিয়াকত আলীর পক্ষে থাকবেন এস এম শাহাজাহান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর ডেথ রেফেরেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। রায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে গত রোববার আলোচিত সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ২৮৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের শেষ পৃষ্ঠায় পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি মো. লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশ আগাগোড়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই, তাঁরা সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার হকদার।’

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গুলিতে নৃশংসভাবে খুন হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নানা অপচেষ্টা চালানো হলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের নাম ও তাদের নৃশংসতার কাহিনি।

পরে গত ৩১ জানুয়ারি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ছয় আসামি হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)। এ ছাড়া, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া এই আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

খালাস পাওয়া সাত আসামি হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০)।

মামলাটি তদন্ত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর দুই কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ‌সি‌নিয়র জু‌ডি‌শিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় মোট ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দেন।

সময় জার্নাল/ইএইচ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল