আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুদ্ধাবস্থাকে আরও উস্কে দিলো রাশিয়া। এবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্সের।
মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়ার জনগণ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের ফোনকলে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে ডিক্রিতে সই করে তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ভাষণ দেন।
দীর্ঘ ভাষণে পুতিন ওই অঞ্চলের ইতিহাস তুলে ধরেন। অটোমান সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারণ নিয়ে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আমি মনে করি একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। যে সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। তা হলো অবিলম্বে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক-এর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়া।’
এর আগে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেয় তাহলে সেটা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যেসব রাষ্ট্র হয়েছে, সেগুলোর ওপর রাশিয়ার প্রভাব ফিরিয়ে আনতে কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর এই লক্ষ্য পূরণে ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
এখন বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে সেখানে রাশিয়ার সেনা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হলো। সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্ত ঘিরে লক্ষাধিক সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে যাচ্ছেন বলে বারবার বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।