আন্তর্জাতিক ডেস্ক। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে পূর্ব ইউরোপের দেশটির রাজধানীতে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণও শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনা কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর ওই হামলা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে রাজধানী কিয়েভের পেরেমোহি (বিজয়) অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে হামলার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।
অন্যদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন এজেন্সি জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনারা কিয়েভের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করেছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভজুড়ে কামানের গোলাবর্ষণের ব্যাপক শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শহরের ঠিক কোথায় কোথায় গোলাবর্ষণ হচ্ছে সেটি এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে গোলাবর্ষণের এই শব্দ শহরটির কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরেই বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে এবং তারা যেকোনো সময় শহরে হামলা চালাবে। এমনকি রাতের মধ্যেই এই হামলা হতে পারে বলেও জোরালো আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, আমাকে পুরোপুরি খোলাখুলি কথা বলতে হবে। আজ রাতটা হবে কঠিন, অত্যন্ত কঠিন। এই রাতে আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে সম্ভাব্য সব পন্থা ব্যবহার করবে শত্রপক্ষ। আজ রাতেই তারা হামলা করবে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের বহু শহরে রাশিয়ার হামলা হচ্ছে। কিয়েভেও হতে যাচ্ছে। (কিন্তু) আমরা রাজধানী হারাতে পারি না।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এই ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, সকল ফ্রন্টের নারী ও পুরুষ প্রতিরোধ যোদ্ধাকে আমি বলবো। আমাদের প্রতিরোধকে ব্যর্থ করে দিতে বিশ্বাসঘাতক, কঠোর এবং অমানবিক উপায়ে আজ রাতেই সর্বশক্তি দিয়ে হামলা চালাবে শত্রুরা।
সময় জার্নাল/আরইউ