মেহেরপুর প্রতিনিধি :
করোনার জন্য আর লক ডাউনের প্রয়োজন হবে না। জোর দেওয়া হবে টিকা কার্যক্রম ও মাস্ক পরার উপর। শনিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা বলেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে টিকা গ্রহনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ওমিক্রন তেমনভাবে ক্ষতি করতে পারেনি। তবে করোনা থেকে যাবে দীর্ঘদিন ধরে।
এজন্য সকল মানুষকে টিকর আওতায় আনতে হবে। সরকারের লক্ষ্য- অধিকাংশ মানুষকে টিকার আতওতায় নিয়ে আসা। সেটিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এখন সারা দেশে এক কোটি টিকাদান কর্মসূচী সফল করতে আমরা কাজ করছি।
বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় দেশে পর্যাপ্ত পরিমান টিকার মজুদ করা হয়েছে। যা বিশ্বের অনেক দেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রমের পাশপাশি, করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসায় নজির স্থাপন করেছে বর্তমান সরকার। যার সুফল ভোগ করছে দেশবাসী। করোনার সংক্রমন নেমে এসেছে ৫% এর নীচে। ফলে আগামীতে আর লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে আবারও করোনার সংক্রমন বেড়ে যেতে পারে। শুধু মাস্কই পারে করোনার সংক্রম কমানোর পাশাপাশি ফুসফুসের নানা রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস বাদে মাস্ক পরলে অন্য ভাইরাস থেকেও মানুষ মুক্ত থাকবে। তাই লকডাউন না দিয়ে মানুষকে মাস্ক পরার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মেহেরপুরে তিন উপজেলায় ৭২ টি কেন্দ্রে প্রথম ডোজের এক লাখ ৭ হাজার টিকা দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।
কেন্দ্রগুলোতেও ব্যাপক মানুষকে টিকা নিতে আসতে দেখছি। এতে এ কার্যক্রম সফল হবে বলে মনে করছি।
এদিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মন্ত্রী জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছালে পুলিশের একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে কোর্ট মোড়ে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করেন। পরে মন্ত্রী আসেন শহরের স্টেডিয়াম মাঠে। সেখানে গণ টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
সময় জার্নাল/ইএইচ