সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)’র মার্চ ২০২২ সেশনে ভর্তিকৃত রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১লা মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারা দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষদের বিদেশী ছাত্রছাত্রীসহ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী, ডীন, কোর্স ডাইরেক্টর, (বিএসএমএমইউ)’র অধিভুক্ত কলেজের প্রধান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক ইনডাকশন প্রোগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৭ জন বিদেশী শিক্ষার্থীসহ সার্জারি অনুষদ, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদ, মেডিসিন অনুষদ, ডেন্টাল অনুষদ এবং শিশু অনুষদের ১১৭৫ জন শিক্ষার্থী আবেশিত হন। শিক্ষার্থীবৃন্দ সকলেই এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জনকারী চিকিৎসক।
ইনডাকশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও নবাগত রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
ইনডাকশন বক্তা ছিলেন সাবেক উপাচার্য ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। নিজ নিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন সার্জারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এএইচএম তোহিদুল আলম, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, ডেন্টাল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান। এছাড়াও অধিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষগণ, নবাগত রেসিডেন্টগণ বক্তব্য রাখেন।
ইনডাকশন প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নবাগত রেসিডেন্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সফল হওয়ার জন্য শুরুতেই সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। জীবনে সততা, নৈতিকতাকে ধারণ করে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে, তবেই সফলতা আসবে। তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও উন্নয়নসমূহ তুলে ধরেন।
ইনডাকশন বক্তা সাবেক উপাচার্য ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অলসতা, বিলাসিতা ছাড়তে হবে। সততা, একাগ্রতা, নিরহংকার গুণকে অর্জন করতে হবে। লেখাপড়ার মধ্যে থাকতে হবে। গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রোগীদের প্রতি সবসময়ই সুন্দর ব্যবহার করতে হবে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ইনডাকশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীই মেডিকেল সাইনটিস্ট। জ্ঞান বৃদ্ধি, দক্ষতা অর্জন ও উৎকর্ষ সাধনে রেসিডেন্সী প্রোগ্রামের বিকল্প নাই। তিনি তার বক্তব্যে চিকিৎসকদের মানবিক চিকিৎসক ও বিশ্বমানের গবেষক হওয়ার আহ্বান জানান।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার শেষ নাই। মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে সৎ ও সুন্দর জীবনযাপনের মাধ্যমে লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাকে স্মরণে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের জন্য কল্যাণকর গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে। রোগীদেরকে নিজ পরিবারের সদস্য মতো সেবাদানের সাথে সাথে চৌকষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
