মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনির দয়ারঘাট-জেলেখালি বিকল্প রিংবাঁধ নতুন করে ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আশাশুনি সদরের
দয়ারঘাট, দক্ষিণপাড়া আশাশুনি, জেলেখালি, গাছতলা গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলিজমি ও মাছের ঘেরে নদীর লোনাপানি ঢুকে পড়েছে।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম কুমার চক্রবর্তী জানান, খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের পানিতে জেলেখালি-দয়ারঘাট
রিংবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে এলাকার মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
মাত্র কয়েকমাস আগে বাঁধটি দেওয়া হয়। সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশাশুনির দশটি পয়েন্টে ভেঙে যায়। যার মধ্যে এই দয়ারঘাটও ছিল। তখন ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিলো। সেই ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে বিকল্প রিংবাঁধ দেয়া হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো এ এলাকার মানুষের দুর্দশা বাড়তে শুরু করেছে।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন জানান, খোলপেটুয়া নদীর দয়ারঘাট এলাকার বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ভঙ্গুর
অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ছিলো। দুপুরে প্রবল জোয়ারের তোড়ে তা ভেঙে জেলেখালি, দয়ারঘাট ও উপজেলা সদরের দক্ষিণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে কমপক্ষে শতাধিক বাড়ি এবং অর্ধশতাধিক মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বিকালে ভাটা শুরু হলে স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেঁড়িবাঁধ বাধার কাজ শুরু করা হবে। মৎস্য চাষ এই এলাকার প্রধান পেশা। আগের রেশ কেটে মানুষ-জন মৎস্য ঘেরে নতুন উদ্যামে মাছ ছেড়ে দিয়ে এখন তা প্রায় ধরার মত হয়েছে। এরমধ্যে আজ সকালে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে শুরু করায় আবারো মানুষের দুঃশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে।
অপরদিকে আশাশুনি জনতা ব্যাংকের সামনে দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি ওঠাতে বাজারের ভিতর পানিতে প্লাবিত হচ্ছে ফলে আশাশুনি সদর এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই ৫টি পয়েন্ট ভাঙনের সমাধান যদি দ্রুত না করা যায় তবে আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে।
ঢালী মো. সামছুল আলম বলেন, আমরা চাই এ স্থানটি যাতে স্থায়ীভাবে বেঁধে মানুষের ভোগান্তি কমআনোর ব্যবস্থা করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, পাউবোর কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করছে, রাতের মধ্যেই বাঁধ বেধে ফেলা যাবে বলে আশা করা যায়।
সময় জার্নাল/এমআই