নির্বোধ যোদ্ধা
- শেখ ফাহমিদা নাজনীন
এসো তবে একবার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি,
যুদ্ধের উত্তাপে, ঘুম ভেঙে চোখ মেলি।
ঘড়িটা ঘণ্টা দিলো দুপ্পুর সাড়ে বারো,
আড়মোড়া ভেঙে ওঠো, ক্ষুধা পেটে মরোমরো।
জানালাটা খুলতেই চোখে লাগে রোদ্দুর,
চোখটা কুঁচকে যায়, রাগের সমুদ্দুর।
যুদ্ধাংদেহী হয়ে ক্রোধের এমন রূপ,
ধমকে মা জড়োসড়ো, সারাবাড়ি নিশ্চুপ।
উঠোনের তারটাতে বসে থাকা কাকটা,
ভয়ে ডানা ঝাপটায়,হেঁকে ওঠে ডাকটা।
জন্মদাত্রী মাতা ভাত বেড়ে হাওয়া দেয়,
নুন-ঝাল কম হলে, হুংকারে চমকায়।
খানিকটা খেয়ে, তার আদ্ধেক ছড়িয়ে,
নাশতা পর্ব যায় কোনমতে গড়িয়ে।
বাইকটা চড়ে তুমি একছুটে চললে,
টা টা, বাই বাই, কাউকে কি বললে?
যুদ্ধে যাচ্ছো যেন, রণসাজে মূর্তি,
ছুটছো হাওয়ার বেগে, মনে কতো ফুর্তি।
কার ঘরে জ্বেলে দেবে দাউদাউ অগ্নি?
এসিডে ঝলসে যাবে দোকানির ভগ্নী।
হয়তোবা ছিলো তার সৎপথে রোজগার,
ঠিকমতো বোঝেনি সে যুদ্ধের হুংকার।
হাসিমুখে দেয়নি যে তোমাদের পাওনা,
সে দোষেই প্রাণ গেলো, শোকগীতি গাওনা।
মনোনীত কথা যদি একটাও উল্টায়,
যুদ্ধের পটভূমি তক্ষুনি পাল্টায়।
দেশবাসী মহাত্রাসি, গুটিশুটি চলবে,
বিপরীতে দাঁড়ালেই, বারুদটা জ্বলবে।
যুদ্ধ চলছে নাকি ইউক্রেন-রাশিয়ায়,
সে সব তো নস্যি, শুনলেই হাসি পায়।
যুদ্ধ দেখবে যদি, এসো তবে একবার,
আমাদের ঘরে ঘরে যোদ্ধার কারবার।
আমাদের শিশুরা তো আজন্ম যোদ্ধা,
অতিষ্ঠ জনগণ, হতাশায় বোদ্ধা।
শেখ ফাহমিদা নাজনীন
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।