জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর মডেল মসজিদ নির্মাণের সময় প্রকৌশলশৈলী ভালো হয়নি এবং সেই সাথে পরিকল্পণায় ত্রুটি রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাসেম মোহাম্মদ শাহীন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানা তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে শুরু করে টানা দু ঘণ্টা মসজটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ধর্মমন্ত্রণালয়ের উপসচিব।
উপসচিব আবুল কাসেম মোহম্মদ শাহীন বলেন, হরিপুর মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব এনামুল হাসান এনডিসি’র দৃষ্টি গোচর হয়। তাদের স্বদয় দৃষ্টিতে আমি মসজিদটি পরিদর্শনে এসেছি। মসজিদ নির্মাণে তত্বাবধায়ন, নিয়ম-অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এসব খুটিয়ে দেখা হয়েছে। বিষয় গুলো ঢাকায় গিয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় আতঙ্কিত জনগণ ফাটলের বিষয়ে অনিয়মের প্রশ্ন তুলেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মসজিদ ভবন নির্মাণ কালে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং প্রকৌশলগত নির্মাণশৈলী ততটা বাস্তবায়ন হয়নি এবং যেভাবে পরিকল্পিত ভাবে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি এটা আমার আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে। মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কোন কিছু প্রমাণ হলে সরকার নিশ্চয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আব্দুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ জেলার কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক এবং অনলাইন মিয়ার গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
সম্প্রতি বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় হরিপুর মডেল মসজিদে ফাটলের সংবাদ প্রকাশ হয়। গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের শেষ দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করে।
গত বছরের ২১ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণপূর্ত জানায়, এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নির্মাণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কাজটি বুঝে নেয়ার কথা। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর না করায় মসজিদটির ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি।
তবে এর আগে মসজিদটি পরিদর্শন করেছিলেন ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) এম কে এম নুরুল হাসান। মসজিদটি সরেজমিন পরিদর্শন করে তিনি ফাটলের বিষয়ে স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই বলে জানান।
সময় জার্নাল/ইএইচ