ডা. তাইফুর রহমান
নারীর সমঅধিকার নাকি নারীর ন্যায্য অধিকার??
সমঅধিকার কি কখনোই সম্ভব? সেটাকি কি কখনোই সমাজ গঠনের সহায়ক?
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রয়োগ করতে গেলে ভেঙে পরবে পুরো সমাজব্যবস্থা, নষ্ট হয়ে যাবে এই সুশৃঙ্খল মানবসভ্যতার সুদৃঢ় চেইন অব কমান্ড।
ইসলাম যেখানে মানুষের অধিকারের কথা বলে, ন্যয়নীতির কথা বলে সেই ইসলামইতো ইমাম আর মোয়াজ্জিনের সমঅধিকার দেয়নি। যদি দেয়া হতো, ইমাম মুয়াজ্জিন দুই জনই নামাজ পড়াতে যেত। সেখানে সংঘাত অনিবার্য।
ইসলামে নারীর উপর পুরুষকে অভিভাবকত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ বাবা নয় মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেশত। আয়েশা রাঃ এর উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত নবীজি বক্তব্য শুরু করতেন না। কঠিন শেষ বিচারের দিনেও স্ত্রীর কাছে স্বামীর ব্যপারে সাক্ষী নেয়া হবে।
নবীজি বলেছেন, তোমাদের কাছে সে ই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।
এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা গুণ,যোগ্যতা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং সে সেই অনুযায়ীই দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত। সে তার দায়িত্বের ব্যপারে জবাবদিহি করতে বাধ্য।
সুতরাং আমরা যদি সবাই সচেতন হতে পারি, নিজের দ্বায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে পারি এবং সর্বোপরি উদারমনা মানবিক মানুষ হতে পারি তাহলেই সম্ভব সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক সমাজ বিনির্মান।
সুতরাং সমতা, ক্ষমতার লড়াই নয় আসুন ন্যয্যতার ব্যপারে সচেতন হই। একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং পরিপুরক হই, গড়ে তুলি ভালবাসার মমতাময় আপন ভুবন।