লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
হাড় ভালো রাখতে আপনি কি সত্যিই মনোযোগী? তাহলে যেসব খাবার খেলে হাড় ভালো থাকে সেসব খাচ্ছেন কি? যেসব কাজ করলে হাড় ভালো থাকে সেসব কাজ করছেন কি? হাড়ের যেকোনো সমস্যাই যন্ত্রণাদায়ক। এটি একবার শুরু হলে সমাধান করতে লাগে অনেক বেশি সময়। তাই আগেভাগেই হাড় ভালো রাখার প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
কিছু কাজ আছে যেগুলো আমাদের হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আমরা বেখেয়ালে সেসব কাজ এড়িয়ে যাই। এতে করে পরবর্তীতে নিজেদেরই ভুক্তভোগী হতে হয়। সমস্যা শুরুর আগেই প্রতিহত করা উত্তম। তাই খেয়াল করুন আপনার সেসব অভ্যাস রয়েছে কি না, যেগুলো হাড়কে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। এই অভ্যাসগুলো থাকলে আজই তা বাদ দিন-
রোদে না বসা
সুস্থতার জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় ভিটামিন হলো ভিটামিন ডি। আর এই ভিটামিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো সূর্যের আলো। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে রোদের বসার মতো সময় আমাদের বেশিরভাগেরই থাকে না। যে কারণে শরীরে তৈরি হয় ভিটামিন ডি এর ঘাটতি। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য রোদে বসার বিকল্প নেই। কারণ সূর্যের আলো সংশ্লেষ করলে শরীরে ভিটামিনেরও সংশ্লেষ হয়ে থাকে।
অনিদ্রা
ঘুমের সমস্যা কখনো কখনো আপনাকে আরও অনেক সমস্যার দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে হতে পারে হাড়ের সমস্যা। সেজন্য ভালো ঘুমের প্রতি মনোযোগী হোন। ঘুমে কোনো রকম অনিয়ম করবেন না।
মদ্যপান
মদ্যপান বরাবরই একটি ক্ষতিকর অভ্যাস। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মদ্যপান করলে হাড় খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোনের নিঃসরণকে প্রভাবিত করে। তাই মদ্যপানের মতো বদ অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।
ধূমপান
ধূমপানের রয়েছে অসংখ্য অপকারিতা। তার মধ্যে একটি হলো এটি হাড়কে দুর্বল করে দেয়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ধূমপানের অভ্যাস থাকলে আজই ছেড়ে দিন।
কার্বোনেটেড পানীয় পান করা
অনেকের অভ্যাস রয়েছে কার্বোনেটেড পানীয় পান করার। এটি মোটেও কোনো ভালো অভ্যাস নয়। আপনি যদি নিয়মিত কার্বোনেটেড পানীয় পান করেন তবে তা আপনার হাড়কে দুর্বল করে দেবে। কার্বোনেটেড পানীয় পান করলে হাড়ের ঘনত্বে সমস্যা দেখা দেয়।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কম থাকা
শারীরিক অ্যাক্টিভিটি বা ক্রিয়াকলাপ কম থাকাও আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনার অলসতাই আপনার হাড়কে দুর্বল করে দেবে। হাড় একবার দুর্বল হয়ে গেলে সুস্থতার পদে পদে বাধা আসতে থাকে। তাই শারীরিক অ্যাক্টিভিটি বাড়াতে হবে।
এমআই