শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বইমেলায় মিল্টন বিশ্বাসের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘‘নদী ও বুনোহাঁসের চিঠি’’

শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২
বইমেলায় মিল্টন বিশ্বাসের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘‘নদী ও বুনোহাঁসের চিঠি’’

জবি প্রতিনিধি:

অবশেষে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, সাহিত্য সমালোচক ও কবি মিল্টন বিশ্বাসের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘‘নদী ও বুনোহাঁসের চিঠি’’ । আগামীকাল(১২ মার্চ) বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হবে। বইটি বাঁচী গ্রন্থ প্রকাশন থেকে এবার প্রথম প্রকাশ হয়েছে । বইটি পাওয়া যাবে বাংলা একাডেমিতে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলে । এই কবিতার বইটি মূল্য ধরা হয়েছে ১২৫ টাকা ।

নদী ও বুনোহাঁসের চিঠি মিল্টন বিশ্বাসের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যটি প্রেমের কবিতা শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। নদীর সঙ্গে বুনোহাঁসের মানবিক সম্পর্কের আদ্যপ্রান্ত কবির অনুভূতির সারল্যে আত্মপ্রকাশ করেছে। রূপক-প্রতীকের আড়ালে এখানে প্রেমের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে সমাজ-সংস্কৃতি ও পরিবেশ-প্রকৃতি। মানবতাকে কবি উচ্চে তুলে ধরেছেন। সেখানে প্রেরণা হয়ে এসেছে কবির মানসপ্রিয়া নদী।

মিল্টন বিশ্বাসের কবিতার নির্যাস নারী ও প্রকৃতি। কবিতাগুলোতে দেখা যায় নদীর সঙ্গে সম্পর্ক একই গতিতে অগ্রসর হয়নি বরং বিভিন্ন সময়ে উভয়ের হৃদয়ে যন্ত্রণা উদ্গত হয়েছে। বিরহে দগ্ধ কবি-হৃদয় শীতল করার সরোবর খুঁজে পেয়েছে মনোদৈহিক সম্পর্কের গভীরে। কবির ভেতর যাযাবর পথিকের ছুটে চলার প্রবণতা আছে। চেতন-অবচেতনে নদী ও বুনোহাঁসের সক্রিয় স্মৃতি-অনুস্মৃতি বয়ে চলেছে কবিতা থেকে কবিতার পঙক্তিতে। বিশ্বভ্রমণের মধ্যেও কবি নদীকে খুঁজে ফিরেছেন বা নদীকে খোঁজার ছলে কবি পথ-প্রান্তরে ছুটে চলেছেন।

নদী ও বুনোহাঁসের চিঠি কাব্যগ্রন্থে কবি মিল্টন বিশ্বাস কবিতার প্রচলিত প্রথা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এ বইয়ের সবগুলো কবিতাই দু’টি চরিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। আবার এটি উপন্যাস বা কাহিনিকাব্য নয়, কিন্তু কাহিনির স্বাদযুক্ত। দুটি চরিত্র এখানে প্রধান। চিঠি শব্দটি থাকায় কাব্যে ৬টি কবিতা নদীর অনুভূতিতে লেখা। উভয়ের মধ্যে একটি উপন্যাসধর্মী আদান-প্রদানের ঘটনাপ্রবাহ চলে কবিতার মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্যাটার্নে। এ দিক থেকে এ কাব্যটি বাংলা সাহিত্যে অভিনব সংযোজন। মিল্টন বিশ্বাস বাংলা কবিতায় নতুন কোনো মাত্রা সংযোজন করলেন কিনা তা সময়ই বলে দিবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বাংলা সাহিত্য গবেষণা কেন্দ্র’ নামক অনলাইন গবেষণা ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা । ব্যক্তিগত জীবনে নানা সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয় বাংলা শিক্ষক সমাজে’র প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য, পিসিবি ট্রাস্ট ও পিসিবি মিশন স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শ্যালোম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, দিশারি ফাউন্ডেশন ও ইসিটি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সিসিডিবি’র কমিশন সদস্য ও পিদিম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৭, গবেষণা প্রবন্ধ ২৫ টি এবং কলাম লিখেছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল