মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে আগামী ১৪-১৯ মার্চ পর্যন্ত ৫০তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ব্যবস্থাপনায় গোর-এ-শহীদ বড়মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারাদেশের ৮২৪ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করবে।
রবিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত দিক তুলে ধরে তিনি জানান, সারাদেশকে ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা বিভাগকে নিয়ে বকুল অঞ্চল, খুলনা ও বরিশাল বিভাগকে নিয়ে গোলাপ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগকে নিয়ে পদ্ম অঞ্চল ও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগকে নিয়ে চাঁপা অঞ্চলের প্রতিযোগিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম আরো জানান, প্রতিযোগিতার মোট ইভেন্ট ৮টি। এই ৮টি ইভেন্টে সর্বমোট ৮২৪ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ৪৪০ জন ও ছাত্রী ৩৮৪ জন। এছাড়া ৪টি অঞ্চলের ৫৬ জন টিম লীডার ও ৪ জন কন্টিনজেন্ট
লীডার থাকবে।
প্রতিযোগিতার ইভেন্টের মধ্যে রয়েছে অ্যাথলেটিক, হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও সাইক্লিং।
শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, এই প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১৫৪ টাকা। এই টাকা ৬দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের পুরষ্কার ক্রয়বাবদ ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় মিটানো হবে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে গ্রীষ্কালীন ও শীতকালীন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নগদ এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ ঢাকা’র শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ অঅক্তারুজ্জামান ভূঞা, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ হাবিবুর রহমান, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মাসদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম রব্বানীসহ শিক্ষাবোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ইন্টার স্কুল স্পোর্টস এসোসিয়েশন অব পাকিস্তান নামে একটি সংগঠন স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান পরিচালনা করতো। অতঃপর ১৯৬২ সালে জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া সমিতি নামে একটি সমিতি গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর উক্ত সমিতি বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া সমিতি রুপে আত্মপ্রকাশ করে। এই নামকরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় অদ্যাবধি এই সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
এমআই