এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কুমার নদের খননকৃত মাটি ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগের পর ইউএনও-র হস্তক্ষেপে মাটি বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মধ্যপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নিকট থেকে খননকৃত মাটি বিক্রি উত্তোলন করে ওই মাটি অবৈধভাবে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।
জানা যায়, কুমার নদের উত্তর পাশে স্তূপ করে রাখা কুমার নদ খননকৃত মাটি এক্সকেভেটর দিয়ে কেটে ট্রলিতে করে ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল।
সুমন ফকির নামে এক যুবক জানান, তিনি রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার ম্যানেজার। সোনা মিয়ার এক্সকেভেটর ভাড়া নিয়ে এ মাটি কাটা হয়েছে। স্থানীয় কালাম শেখের জমির উপর এ মাটি রয়েছে। কালাম শেখ মাটি বিক্রি করেছে। পুতুন্তিপাড়ায় অবস্থিত আক্কাস খালাসির ভাটায় এ মাটি বিক্রি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জমির মালিক কালাম শেখ বলেন, গত দুই দিন মাটি নিয়েছে চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার লোকজন। আমাকে কিছু খরচ দিতে চেয়েছে। আমার প্রায় সোয়া একর জমির উপর এ মাটি রয়েছে। মাটি থাকার কারণে কোন ফসল হচ্ছে না। এর আগে একবার এ মাটি বিক্রি করতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দেয়।
এ ব্যাপারে ইটভাটা মালিক আক্কাস খালাসি জানান, আমিতো মাটি নিচ্ছি না। আমাকে মাটি দিচ্ছে। কে দিচ্ছে প্রশ্ন করলে প্রথমে বলেন, রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পরে বলেন চেয়ারম্যানের লোকজন। তিনি আরও জানান, ট্রলি প্রতি ৮০০ টাকা চুক্তিতে তিনি মাটি ক্রয় করছেন।
এ ব্যাপারে রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার নিকট জানতে সোমবার সকাল সোয়া দশটায় একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে কুমার নদের খননকৃত মাটি নেয়া বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে রোববার বিষয়টি জানিয়েছি।
এমআই